কার্যকরী লোকপাল আইন, গনতন্ত্রকে প্রসারিত করা, পঞ্চায়েতিরাজ ও গ্রামসভা প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার দাবিতে অনশন কর্মসূচী সফল করুন

Posted by স্বাভিমান Labels: , ,




         লোকপাল বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকায় আমরা শঙ্কিত। আমরা শঙ্কিত এই কারণেই যে এক নখদন্তহীন, দুর্বল এবং দুর্নীতিবাজদের শায়েস্তা করতে অপারগ এক বিল পার্লামেন্টে পেশ করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দুর্নীতিরোধে সরকার ও সরকার-পরিচালক দল কংগ্রেসের অনীহা ও অনাগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে। যেহেতু পার্লামেন্টে বিতর্ক ও গৃহিত হওয়ার মধ্য দিয়েই এই বিল আইনে রূপান্তরিত হবে, তাই “টিম আন্নার” তৈরি খসরা বিল সংসদে পেশ করতে কোন আপত্তি থাকার কথা ছিল না। এক্ষেত্রে সরকারের আপত্তি তাদের দূরভিসন্ধিরই পরিচায়ক। তৃণমূল স্তরে ও সর্বোচ্চ স্তরের দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে উভয় স্তরের কর্তাব্যক্তিদের লোকপালের আওতায় আনা আবশ্যক। প্রধানমন্ত্রী ও জিলাস্তর সহ নিচুতলার প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের লোকপালের আওতার বাইরে রেখে সরকার প্রকারান্তরে দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার পরিবর্তে প্রশয় দেওয়ারই এক আইন তৈরি করতে চাইছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে অভিযোগকারীর উপর শাস্তির বিধান রেখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করার ব্যাপারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে চাইছে সরকার। আমরা সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করছি।

        বন্ধুগণ, আমরা মনে করি, সর্বস্তরে দুর্নীতিকে রোধ করতে হলে, এক কার্যকরী লোকপাল প্রতিষ্ঠান গঠন করা এবং তার অধীনে রাজ্যিক লোকায়ূক্তকে শক্তিশালী করার সাথে সাথে বর্তমান সংসদীয় গণতন্ত্রকে আরও প্রসারিত করা প্রয়োজন যাতে নীতি-নির্ধারক আইনসভা ও রূপায়ণকারী প্রশাসন-যন্ত্রকে জনগণ কার্যকরীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি জনগণের ক্ষমতা বৃদ্ধি না করে দুর্নীতি দমন সম্ভব নয়। অথচ, আমরা লক্ষ্য করছি যে, আশির দশক থেকে এবং বিশেষ করে ১৯৯১ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর গৃহিত নয়া আর্থিক নীতির মাধ্যমে সমস্ত কিছুকে বেসরকারীকরণ তথা ব্যক্তিগতকরণের ফলে জনগণের অপ্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণও উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানীগুলি তাদের ব্যক্তিগত মুনাফার স্বার্থে ও সস্তায় দেশের শ্রম-সম্পদ লুঠ করার উদ্দেশ্যে টাকার থলি নিয়ে মন্ত্রী-আমলাদের দোয়ারে হাজির হচ্ছে এবং তাতে অতীতের তূলনায় দুর্নীতি ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং লাগামছাড়া কালো-টাকার পাহাড় গড়ে উঠছে। জনগণকে ঘুমে রেখে এবং জনগণের কাছে উত্তর দেওয়ার ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতা ক্রমাগত শিথিল করে, ব্যক্তিগতকরণের মাধ্যমে জনগণের প্রতি সরকারের দায় কমিয়ে আনার মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি ও আমলারা অর্থ ও বাহুবলে বলিয়ান হয়ে উঠছেন।

         বন্ধুগণ, গণ-আন্দোলনের চাপে তৃণমূল স্তরে যেটুকু ক্ষমতা জনগণ আদায় করতে পেরেছে, সেই গণ-প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রশাসনিক কূটচালের মাধ্যমে অকার্যকরী করে দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত ও এনরেগা আইনে যে গ্রামসভার বিধান রয়েছে সেগুলিকে বাস্তবে অনুষ্ঠিত না করে নথিপত্র কারসাজি করে গ্রামসভাকে প্রহসনে পরিণত করার অপচেষ্টা নিরন্তর চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েতের হাতে নির্ধারিত ক্ষমতাগুলি হস্তান্তর না করে গ্রামীণ মানুষের ক্ষমতায়নের এই প্রতিষ্ঠানকে মন্ত্রী-আমলাদের লুঠের এজেন্ট-প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।

        তাই, বন্ধুগণ, এক কার্যকরী লোকপাল বিধেয়ক, গন-ক্ষমতায়নের জন্য গনতন্ত্রকে প্রসারিত করা, পঞ্চায়েতিরাজ ও গ্রামসভা প্রতিষ্ঠানকে কার্যকরী ও শক্তিশালী করার দাবিতে ইন্ডিয়া অ্যাগেনস্ট করাপশনের সর্বভারতীয় কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে আমরা শিলচরেও ১৬ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন কর্মসূচীতে সামিল হচ্ছি।

সংগ্রামী অভিনন্দন সহ :

ইন্ডিয়া অ্যাগেনস্ট করাপশন – অ্যা লঙ মার্চ, বরাক ভ্যালির পক্ষে নির্মল কুমার দাস ও নেহারুল আহমেদ মজুমদার কর্তৃক প্রচারিত ও ....................................মুদ্রিত।     
সঙ্গে আছেনঃ অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন,বরাক হিউমেন রাইটস ইউনিয়ন, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি সহ প্রায় বিশটি আরো সংগঠন।  

Anna Hazares message to the Nation for 15th and 16th August.

Posted by স্বাভিমান Labels: , , , , ,



My Dear Fellow Indians,
          A decisive battle against corruption has begun. We are not against any political party. We want systemic reforms. We want a corruption-free India. After all, what are the people asking for – a strong anti-corruption law which provides for honest and time-bound investigations and trials that result in jail for the guilty, confiscation of embezzled money and their dismissal from service? Are we asking too much? For two months, we were talking to the government. Government seems unwilling to take even small steps against corruption. Government appears insincere. We have met all prominent political leaders. We have tried everything. What do we do now? When I announced my indefinite fast from 16th August, the government threatened that they would crush us the way they crushed Baba Ramdev's peaceful agitation. Friends, this is a historic opportunity. We can't afford to lose it. We are determined to fight to the end. If they arrest us, we will peacefully offer ourselves. If they use batons and bullets, we will happily lay down our lives but will not leave the place. We will not retaliate. It will be a completely non-violent movement. “If you fast on 16th August, you will be crushed” – this is what they are saying. “We will impose section 144 on Jantar Mantar” – this is what they are thinking. But I say that if every citizen in this country takes off from his work from 16th August, comes on the streets in front of his house, at the crossing, with a tricolor in his hands shouting “Bharat Mata ki Jai” and raising slogans against corruption, they will fall short of batons and bullets. The government may arrest one Anna Hazare but how will they arrest 120 crore Anna Hazares? They may impose section 144 at one Jantar Mantar but will they impose section 144 on the whole country? And let me tell you – the police and army is with us. At traffic signals, policemen stop us, express their support and wish us well; at Raj Ghat, the policemen donated generously for the movement! So, will you take off from your work from 16 August? Will you descend on the streets with me? This year, the country will wait for 16th rather than 15th August. In solidarity,
thanks

Anna Hazare

(Please make copies of this pamphlet and distribute it in large nos.)


“WHY GOVERNMENT'S LOKPAL IS DANGEROUS???”

       Government's Lokpal is targeted against those who raise their voice against corruption rather than to punish the corrupt!

       The government's Lokpal bill covers only about 0.5% of public servants, yet it brings under its ambit virtually every citizen's group and organization, registered or unregistered, meant to serve the social sector. This raises a pertinent question -- whom is the Lokpal really targeted at? There are more than 1.25 crore central and state government employees. Out of this merely 65,000 Group A Central Government employees would be covered in the government bill leaving out all the lower officers and staff. This effectively means that there is no remedy against corruption that a common person faces daily in police, roads, industry, licensing, transport, roadways, municipality, rations, health services, education, pension, provident funds, Panchayat, forest department, irrigation department, etc. On the other hand, Lokpal would have jurisdiction over ALL NGOs, trusts, societies like Resident Welfare Associations(RWAs), big or small, whether registered or unregistered, whether they receive government funding or not, up to the village level! For instance, consider a group of citizens that unearths corruption of the Sarpanch and Block Development officer (BDO) in a village. The government's Lokpal can't take any action against the Sarpanch or BDO but it CAN lock up the group of HONEST active CITIZENS. Each and every association, like Resident Welfare Associations, Market Associations, even your neighborhood committees that organize festivals like Durga Puja, Ramlila, etc. would be under the purview of Lokpal. While there is no disagreement that the rot of corruption is also afflicting many societies, associations and NGOs, there already exists a plethora of laws like the Trust Act, Societies Act, FCRA, etc. to monitor them. Lokpal was originally intended for checking corruption in public servants. Regardless, if it is being extended to all associations of civil society, then why shouldn't it also cover all companies, businesses, political parties, and media houses?

Government's Lokpal Provides Greater Protection to Corrupt!

Provisions in the government's Lokpal Bill heavily favour corrupt public servants. Under this bill, a public servant accused of corruption is allowed to turn around and file a lawsuit against the complainant accusing him of filing a frivolous complaint. The government will provide a free advocate to the accused to help prove the citizen was wrong, while the citizen has to fend for himself. If the complaint proves to be frivolous, the minimum sentence FOR THE CITIZEN is TWO YEARS. But if the corruption charges are proved, the minimum sentence for the public servant is just SIX MONTHS!
Will then any citizen dare raise a voice against corruption?

PLEASE FORWARD TO ALL YOU FRIENDS.

স্বাভিমান:SWABHIMAN Headline Animator

^ Back to Top-উপরে ফিরে আসুন