নিউ ট্রেড ইউনিয়ন ইনিশিয়্যাটিভ (নয়া দিল্লি)’র পক্ষে অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের ২ সেপ্টেম্বর ‘সর্বভারতীয় ধর্মঘট’ সফল করার আহ্বান
Posted by Labels: আসাম, বরাক উপত্যকা, শ্রমিক আন্দোলন, সমাজ
প্রেসবিজ্ঞপ্তি
কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক জনবিরোধী
নীতি গ্রহণ করে দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর ফলে এমনকি উৎপাদক কৃষকরাও বিপদের সম্মুখীন
হবেন। নিত্য-প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির
ফলে সাধারণ মানুষ নাজেহাল। সকল ক্ষেত্রে সরকারি
মালিকানা উঠিয়ে দিয়ে দেশের শ্রম ও সম্পদের অবাধ লুঠের জন্য দেশি-বিদেশি বৃহৎ ব্যক্তি-মালিকদের
হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আসামের তৈল ক্ষেত্রের অকশন
বিক্রির সিদ্ধান্ত এর সাম্প্রতিক উদাহরণ। প্রতিরক্ষা খাতে একশ শতাংশ বিদেশি
বিনিয়োগের ছাড় জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।
নির্বাচনের আগে আসামের চা-শিল্পে কর্মরত বিশাল শ্রমিকশ্রেণির মজুরি
বৃদ্ধির কথা বললেও, আসামে ক্ষমতায় আসীন
হয়েই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভুলে বসে আছে বিজেপি দল। এই বিশাল
জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকা সুনিশ্চিত করার বদলে বাগান মালিকদেরই স্বার্থ দেখছে সরকার।
বাগান শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী শ্রমিকদের যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা
তার কোনো কিছুই বাগান মালিকরা দেয় না, শ্রমিকের পিএফ-এর অর্থ জমা না দেওয়ার
অভিযোগ রয়েছে বিস্তর, কিন্তু কেন্দ্র-রাজ্য কোনো সরকারই আইন না মানার
জন্য বাগান মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় না।
শ্রম আইনকে সংশোধন করে শ্রমিক স্বার্থের উপর আঘাত করা হচ্ছে।তপসিলি জাতি/জনজাতি
হিসেবে স্বীকৃতির দীর্ঘদিনের দাবি উপেক্ষা করে কেন্দ্র-রাজ্য সরকার
এই জনগোষ্ঠীকে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে চলেছে।তাদের
মাতৃভাষার ও জাতির স্বীকৃতি না দিয়ে এই জনগোষ্ঠীকে অপমান করে
চলেছে
সব দল ও সরকার।
এই পরিপ্রেক্ষিতে
নিম্নলিখিত দাবির ভিত্তিতে ২ সেপ্টেম্বর
সর্বভারতীয় ধর্মঘটকে সফল করে তোলার জন্য মেহনতি মানুষ ও আমজনতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন।
(১) খুচরো ব্যবসা ও প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশি বিনিয়োগের ছাড় দেওয়া
চলবে না।
(২) সরকারি খণ্ডকে ব্যক্তিগত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া চলবে না ও আসামের তৈল ক্ষেত্রের অকশন বিক্রির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
(৩) বিগত রাজ্য সরকারের জারি করা নোটিফিকেশন অনুযায়ী চা-শ্রমিকদের ন্যূনতম মোট মজুরি ১৭৭ টাকা ও নগদ মজুরি ১৪৩ টাকা দিতে হবে। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যের মত লেবার কনফারেন্স ও সুপ্রিম কোর্টের বিধান অনুযায়ী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর বর্তমান বাজার দরের ভিত্তিতে চা-শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৪২০ টাকা ধার্য করতে হবে।
(৪) বাগান শ্রম আইনের সুষ্ঠু রূপায়ণ করতে হবে।
(৫) চা ও প্রাক্তন চা-শ্রমিকদের তপসিলি জাতি/জনজাতির স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
(৬) চা-বাগানের জনগোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সংগ্রামী অভিনন্দন সহ-
(২) সরকারি খণ্ডকে ব্যক্তিগত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া চলবে না ও আসামের তৈল ক্ষেত্রের অকশন বিক্রির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
(৩) বিগত রাজ্য সরকারের জারি করা নোটিফিকেশন অনুযায়ী চা-শ্রমিকদের ন্যূনতম মোট মজুরি ১৭৭ টাকা ও নগদ মজুরি ১৪৩ টাকা দিতে হবে। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যের মত লেবার কনফারেন্স ও সুপ্রিম কোর্টের বিধান অনুযায়ী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর বর্তমান বাজার দরের ভিত্তিতে চা-শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৪২০ টাকা ধার্য করতে হবে।
(৪) বাগান শ্রম আইনের সুষ্ঠু রূপায়ণ করতে হবে।
(৫) চা ও প্রাক্তন চা-শ্রমিকদের তপসিলি জাতি/জনজাতির স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
(৬) চা-বাগানের জনগোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সংগ্রামী অভিনন্দন সহ-
ইনক্লাব জিন্দাবাদ!
অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে
অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে
শিশির দে, নুমান আহমেদ, ধরিত্রী শর্মা ও
পারভেজ খসরু লস্কর কর্তৃক প্রচারিত