অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন দিচ্ছে ডাক
গ্রাম-বাগানে উঠাও আওয়াজ - আমাদের লাগে রেশন, হাজিরা ও কাজ
চা-শ্রমিক,
গ্রামীন শ্রমিক ও দরিদ্র মানুষের প্রতি আমাদের সরকারের কোন দায় নেই। সরকার ব্যস্ত
বড় বড় কোম্পানী মালিকদের সেবা করতে, মন্ত্রী-আমলা ও তাদের সহযোগীরা ব্যস্ত দুর্নীতির
বখরা পেতে। এরজন্যই চা-শ্রমিকরা অতি কম মজুরিতে হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে বাধ্য হয়,
বিপিএল কম দেখিয়ে দরিদ্রদের সুযোগ সুবিধা কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করা হয়, কাজ দেওয়ার
নাম করে কাজ দেওয়া হয় না এবং আইনানুগ (এনরেগা) বেকারভাতাও দেওয়া হ্য় না। বরাকের
চা-শ্রমিকেরা ন্যূনতম মজুরি পাওয়া তো দূরের কথা, এমনকি যখন ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার
আপার আসামের শ্রমিকদের প্রায় ৭২ টাকা হাজিরা, তখন বরাকের শ্রমিকরা পায় মাত্র প্রায়
৫৫ টাকা। উপরন্তু নিরিখ বাড়িয়ে দিয়ে প্রকৃত মজুরি আরও কমিয়ে দেওয়া হয়। দুর্নীতি
এমনস্তরে গেছে যে সরকারী সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে গ্রাম-বাগানের দরিদ্র মানুষরা
বঞ্চিত হয়। সরকার বিদেশি পুঁজি-মালিক ও তাদের নিয়ন্ত্রিত সংস্থা আই-এম-এফ,
বিশ্বব্যাঙ্ক, এডিবি’র হুকুমের গোলামে
পরিণত হচ্ছে এবং তাই জনগণের কর-খাজনায় গঠিত সরকারী তহবিল দিয়ে বঞ্চিত-নিপীড়িত
মানুষের স্বার্থ না দেখে সরকার ধনীদের স্বার্থ দেখছে।
তাই,
নিম্নলিখিত দাবিগুলির ভিত্তিতে আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন
সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছে।
()
বরাক-ব্রহ্মপুত্র
উপত্যকার চা-শ্রমিকদের সমহারে (বর্তমান ৭২ টাকা) মজুরি প্রদান করা, ন্যূনতম এনরেগা
শ্রমিকের মজুরি (বর্তমান ১৩০ টাকা) প্রদান ও বর্তমান গ্রাহক দর সূচকের
(জিনিষপত্রের বাজার দর) উপর ভিত্তি করে চা-শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারন করা
এবং শ্রমিকদের নিরিখ ১৮ কেজিতে নামিয়ে আনা।
()
যাদের নামে
এপিএল-বিপিএল কার্ড রয়েছে তাদেরকে কার্ড হস্তান্তর করা, ২০০২-এর বিপিএল সার্ভের
তালিকা অনুযায়ী সবাইকে বিপিএল কার্ড প্রদান, নতুন যে বিপিএল সার্ভে শুরু হচ্ছে
তাতে গ্রামসভার মাধ্যমে জনগণকে সামিল করা, সর্বজনিন রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।
()
এনরেগার কাজ দেওয়া,
এবং কাজ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেকার ভাতার জন্য আবেদনকারীদের অবিলম্বে বেকারভাতা প্রদান
করা।
()
সমস্ত সরকারী
প্রকল্পে দুর্নীতি বন্ধ করা, দুর্নীতিবাজদের শাস্তি প্রদান ও সুষ্ঠু গ্রামসভার
মাধ্যমে হিসেব পরীক্ষা করা।
সংগ্রামী
অভিনন্দন সহ –
অসম
মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে – শিশির দে, আলতাফ
খান, ধরিত্রী শর্মা।
[ আগামী
২৪-২৫ সেপ্টেম্বর (৬-৭ আশ্বিন) কাটিগড়ায় বরাক জোনাল প্রতিনিধি সম্মেলন।
আগামী
১৪ নভেম্বর (২৭ কার্তিক) শিলচরে গন-সমাবেশ, মিছিল ও জনসভা।। ]