আম-আদমির বিদ্রোহ ঃ সুবিধা বনাম সুবিধাবাদ
Posted by
আম-আদমির বিদ্রোহ ঃ সুবিধা বনাম
সুবিধাবাদ
অরূপ বৈশ্য
যুগশঙ্খ, ২৯ জানুয়ারী সংখ্যায় বেরিয়েছে
প্রতিস্পর্ধী অবয়ব
ক’দিন হলো শরীরটা বিশেষ ভাল নেই। কিছু একটা লিখে
ফেলার ইচ্ছে হচ্ছে। এই দুটি বিষয় প্রায়শই যুগপৎভাবে ঘটে। যাদের লেখালেখির অভ্যেস
নেই, তাদের হয়ত সেসময় কিছু বলার ইচ্ছে জাগে। সংশয় দানা বাঁধে মনে। কেন এমনটা হয়?
দেহ যখন অসুস্থ, মস্তিষ্ক তখন হয়ত বহিরঙ্গ থেকে নতুন কিছু নিতে চায় না। অন্তরঙ্গের
সঞ্চয় থেকে অসুস্থ দেহের প্রতিস্পর্ধী নতুন কোন অবয়ব গড়ে তুলতে চায়। এই চাওয়াটাই
সম্ভবত দেহের অসুস্থতার সাথে যুগপৎভাবে তৈরি হয়। এই ইচ্ছেটা নতুন, কিন্তু লেখাটা
তৈরি হয়ে গেলে সেটা তো পুরোনো – অতীত জ্ঞান। দেহ-মস্তিষ্কের যুগলবন্দি যাকে আমরা
মন বলে জানি সেই মনের সামগ্রীক অসুস্থতা অতীত জ্ঞানকে গ্রাস করে নিতে চায়। সংঘাত
দেখা দেয় নতুন ও পুরোনোর মধ্যে। অসুস্থতা ও তার প্রতিস্পর্ধী নতুন অবয়বের সংঘাতের
অনবরত নবীকরণই জীবন, যার অন্তে মৃত্যু।
সাযুজ্যের খোঁজে
আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ, গোটা ব্যবস্থাটাই আজ অসুস্থ।
আমরা তো বসে আছি এই ব্যবস্থার এক প্রান্তে। মূল চালিকাশক্তি আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ ও জাপান এই ত্রিদেব ব্যতিব্যস্ত
কঠিন রোগে আক্রান্ত এই ব্যবস্থাকে বাঁচাতে। স্যুইজারল্যাণ্ডের ডাভোসে বসেছে বিশ্বের
শতকোটিপতি
অতি-ধনীদের হাট।
আলপাইন রিসর্টের মনোরম পরিবেশে বিশ্ব আর্থিক ফোরামের ৪৪তম অধিবেশনে তাদের পরামর্শ
শুনতে হাজির বিশ্বের তাবড় তাবড় রাষ্ট্র নেতা, ব্যাঙ্ক-আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান-কর্পোরেট কর্তা ও
সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সেলিব্রিটিরা। কিন্তু সেখানেই সতর্কবাণী শুনিয়ে দিলেন
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (ILO) ডিরেক্টর-জেনারেল গায় রাইডার। তিনি বললেন যে ওইসিডি (OECD) সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে অর্থাৎ
প্রায় গোটা আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ ও জাপানে প্রতি ছয়জন যুবকের মধ্যে একজন কোনধরনের চাকুরী বা প্রশিক্ষনের সাথে
যুক্ত নয়, একেবারে কাঠ-বেকার। একের পর এক কারখানা বন্ধ, মজুরি হ্রাস, শ্রম-সংকোচন,
শ্রম-ছাঁটাই, ব্যয়-সংকোচনের রাষ্ট্রীয় নীতির মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষার অবনতি
ইত্যাদির মধ্যেই এই অতি-ধনিদের সম্পদের ভাণ্ড কিন্তু বেড়েই চলেছে। ব্যাঙ্কে জমা পুঁজি,
পেনসন ফাণ্ড, ইন্স্যুরেন্স ফাণ্ড সবকিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ উঠিয়ে তা ব্যবহার করতে তারা
ব্যস্ত বিত্ত বাজার থেকে মুনাফা কামানোয়, স্টক মার্কেটের উর্ধ্বগতি তাদের মুনাফার নিশ্চিতি
প্রদান করে। কিন্তু ডাভোস অধিবেশনের আগে আগে এক্ষেত্রেও সতর্কবাণী শুনিয়ে রেখেছেন
আই-এম-এফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টিন ল্যাগার্ডি। তিনি বললেন যে আধুনিক
সরঞ্জামের মূল্যহ্রাসের ভয়ানক দৈত্য গোটা পুঁজিবাদী বাজারকে গ্রাস করে ফেলছে। শ্রমনিবিড়
ক্ষেত্রে নিয়োজিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি আয়ের লোকদের প্রকৃত আয়ের নিম্নগতি, কোটি কোটি মামুষের বে-ঘর, বে-রোজগার, মজুরি হ্রাস সাধারণভাবে
মানুষের
ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে এবং ফলে বাজারে ঘটছে চাহিদার সংকট। এই সংকট ছড়িয়ে পড়ার উপক্রম
করছে সর্বত্র - বিত্ত বাজার, ভোগ্য পণ্যের বাজার থেকে উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়
মেশিনারির বাজারে। ২০০৮ সালের আমেরিকান সাব-প্রাইম বাজারের সংকটের পর কিছু কিছু শ্রম-উপযোগী পদক্ষেপের ফলে
সংকট থেকে বেরোনোর কিছু স্থানিক ও সাময়িক লক্ষণগুলিকে দেখিয়ে রাষ্ট্রনেতারা সংকট
থেকে নিষ্কৃতির
কথা মুখে বলে বেড়ালেও, পুঁজির রক্ষকরা কিন্তু স্বস্তিতে নেই। নানরকমের দাওয়াইয়ের
কথা তারা বলে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু আসল দাওয়াই তো কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, মজুরি
বৃদ্ধি, গরিষ্ঠাংশ মানুষের আয় বৃদ্ধিজনিত পদক্ষেপের মধ্যে নিহিত। যে দাওয়াই এই অসুখকে ভাল
করতে পারে তা তো শ্রমজীবীদের স্বার্থে চলে যায়, তাদের সংঘ শক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি
করে এবং তাই তা প্রয়োগ করা বারণ। কারণ এই ব্যবস্থা যেমনি তৈরি করেছে কোটি কোটি
মানুষের জীবনের সংকট, তেমনি শ্রমজীবী মানুষের জীবনের সংকট বাড়িয়ে তুলছে এই ব্যবস্থার সংকটকেও যা বৃহৎ পুঁজির মালিকদের রাতের ঘুম
কেড়ে নিচ্ছে। কিন্তু ব্যবস্থার অভ্যন্তরে অসুস্থ দেহের প্রতিস্পর্ধী বিশ্বব্যাপী
কোন অবয়ব এখনো গড়ে তুলতে পারেনি এই সবহারারা। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে যে নতুন অবয়ব
তৈরি হয় কালের অসুখ তাকেও গ্রাস করে ফেলে, আর থাকতে হয় এক নতুন অবয়ব তৈরির অপেক্ষায়, যে অবয়ব অসুস্থ
দেহের মৃত্যু পরোয়ানা ঘোষণা করবে এক নতুন জীবনের আকাঙ্খায়।
সংকটাদীর্ণ
স্থান-কাল-পাত্র
গোটা বিশ্বব্যবস্থায় এরকমই এক স্থান-কাল-পাত্র আমাদেরই দেশ।
এখানে তো জীবনের দাম নগণ্য। বেঁচে থাকার মজুরি না দিয়েই শ্রম পাওয়া যায়, সব
ফোকাসের তলায় যে অন্ধকার সেখানেই লক্ষ লোককে উচ্ছেদ করে দেওয়া যায়, মাটির নীচে বা
উপরের সম্পদ লুটে নেওয়া যায়, আইন বানিয়ে সরকারের উপর চাপিয়ে দেওয়া যায় জনকল্যাণ
খাতে ব্যয় সংকোচনের নিয়ম, মানুষের শ্রমের জমা অর্থ কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে
দেওয়া যায় তাদের বিনিয়োগের জন্য, পরিকাঠামো – প্রাসাদোপোম হোটেল – বিশালাকায়
এয়ারপোর্ট – মাল্টিপ্লেক্স ইত্যাদি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পরিবেশ ধ্বংস, উচ্ছেদের মত
বিষয়গুলিকে তুচ্ছ বলে বিবেচনা করা যায়। একাজগুলি কত দ্রুত করা উচিত এবং করা যেত তা
নিয়ে বাক-বিতণ্ডার অন্ত নেই। কিন্তু এগুলি যে যেকোন মূল্যে করতেই হবে এব্যাপারে রাষ্ট্র-পরিচালকদের
মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। গ্রোথ (Growth) চাই, জবলেস (Jobless) হলেও গ্রোথ চাই, যারা জব পাবে না তাদেরকে
অপাংক্তেয় – প্রতিযোগিতায় অনুপযোগী - অদক্ষ ঘোষণা করে দিলেই রাষ্ট্রের দায়িত্ব
ফুরোলো। বাজার তাদের মানবেতর জীবন যাপনের জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেবে।
কীভাবে? কারণ গ্রোথ বাড়লে আয় বাড়বে, আর আয় বাড়লে আয়ের পাত্রটি ভরে ওঠে উপচে পড়বে (Trickle Down Effect)
নীচে পড়ে থাকা লোকেদের জন্য। কিন্তু বাস্তবে যে উপচে পড়ে না, বরঞ্চ আয়ের পাত্রটিই
বড় হতে থাকে তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ বিগত কয়েকবছরে ভারতবর্ষে শতকোটিপতিদের অস্বাভাবিক
সংখ্যাবৃদ্ধি ও আম-জনতার দুর্দশাবৃদ্ধি।
দুর্নীতি ও আম-আদমি
আম-আদমির জীবনের প্রথম চাহিদা জীবনকে ধরে রাখা। তাই জীবনের রসদ
সংগ্রহে যদি ঘুষ দিতে হয়, তাহলে প্রয়োজনে জমি বন্ধক রেখেই তাকে তা করতে হয়। যারা
ঘুষ নেয় তারা দুর্বৃত্ত তো বটে, কিন্তু বড়মাপের নয় – কারণ বড়মাপের দুর্বৃত্তদের কাছে
যাওয়ার প্রয়োজনই পড়ে না এই আম-আদমির। কিন্তু এতেও দুর্দশা তো ঘুচে না। তাই যখন
উপরমহলের বড় বড় লেনদেনের খবর এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাতাসে ছড়ায় তখন বিক্ষোভ
দানা বাঁধে – দুর্নীতির অসুখে জর্জরিত এই ব্যবস্থার প্রতিস্পর্ধী অবয়ব তৈরি হয়।
কিন্তু দুর্নীতি তো আসল অসুখ নয়, অসুখের লক্ষণ মাত্র। উপর মহলের দুর্নীতি তো এক
বিশেষ মুহূর্তে, বিশেষ পরিস্থিতিতে মানুষ জানতে পারে, বাকী সময় তো লোকচক্ষুর
আড়ালেই থাকে। এই বাকী সময় রাম-রহিম-হরিরা তো শ/দু’শ টাকার বিনিময়ে দুবেলা খাওয়া
সুনিশ্চিত করতে রেশন কার্ডটা, জবকার্ডটা জোগাড় করে। গ্রোথ চাই গ্রোথ বলে যারা দেশে
বিদেশে বিনিয়োগকারীদের তোষামোদ করছেন, সেই বিনিয়োগকারীরা তো এগুলো উঠিয়ে দিতে
চাইছেন। সুতরাং সেই দুর্নীতি তো আম-আদমির মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেই বন্ধ করতে
উদ্যত এই ব্যবস্থার মনসবদারেরা। তাই উপরমহলের যে দুর্নীতি তা শুধু আমআদমির ঘোষিত
বিদ্রোহের ক্রোনি-ক্যাপিটেলিজম নয়, সেটা মূলতই পুঁজিবাদ, দুর্নীতি যার সঙ্গী। আম-আদমি
এই সঙ্গীকেই চিহ্নিত করে এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রতিস্পর্ধী অবয়ব তৈরি
করে।
আম-আদমির বিদ্রোহ
১৯৭৫-এর জরুরিকালীন অবস্থার আগে আগে আম আদমির-বিদ্রোহের অবয়বের
রূপ দিয়েছিলেন দিল্লির রামলিলা ময়দান থেকে জয়প্রকাশ নারায়ণ এক উদাত্ত আহ্বানের
মধ্য দিয়ে। জয়প্রকাশ নারায়ণ ভারতীয় গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছিলেন। আন্না হাজারে
জয়প্রকাশ নন, তাঁর আবেদন জয়প্রকাশের সময়ের মাত্রার দেশব্যাপী ঢেউ তুলতে পারেনি,
তাঁর সমতূল্য ভবিষ্যত দ্রষ্টাও তিনি নন, আন্না তাঁর অবদানের কোন ছাপ না রেখেই
হারিয়ে গেলেন। আন্না হাজারের বদলে যারা এগিয়ে এলেন, তাঁরা এবার গণতন্ত্রকে প্রসারিত
করার, প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ও দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব নিয়ে এলেন। কিন্তু
আমাদের একথা ভুলে গেলে চলবে না যে জয়প্রকাশের নেতৃত্বে দেশব্যাপী এতো ব্যাপক
আন্দোলনের পরও নব্বইয়ের দশকে আমাদের দেখতে হয়েছে দেশব্যাপী জঘন্য সাম্প্রদায়িক বিভাজনের
রাজনীতি। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আশির দশক থেকে কাঠামোগত পুনর্গঠনের মাধ্যমে
শ্রমজীবী মানুষের উপর যে ক্রমাগত ও লাগামহীন নিপীড়ণ নেমে আসছে তার দিকে। অধিকাংশ
মানুষকে বঞ্চিত করার নীতি ও গণতন্ত্রের
নীতি একইসাথে টিঁকে থাকতে পারে না। অর্থনীতির ধারণা যদি দুর্নীতির কালো টাকা
উদ্ধার করে সামাজিক কল্যাণের মধ্যে ও জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা যদি অধস্তন পুলিশ
কর্মীর সাসপেন্সনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে বিদ্রোহের এই অবয়ব সামগ্রীক
অসুস্থতার অঙ্গ হয়ে যাওয়ার জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। তবে গোটা ব্যবস্থা
যে সংকটের আবর্তে, তাতে ভিন্নতর বিদ্রোহ যে কোন স্থানে যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতেই
পারে।
বৌদ্ধিক পরামর্শ ও আম-আদমির
ভবিষ্যত
এঅঞ্চলের একজন বুদ্ধিজীবীর মন্তব্য দিয়ে যখন লেখাটির
উপসংহার টানব ভাবছি, তখন মনে হল বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞাটিই তো গোলমেলে। সুতরাং একে
একটু ঝালিয়ে নেয়া যাক। অনেকের মতে বুদ্ধিজীবী হচ্ছেন তাঁরাই যারা জ্ঞান বিতরণ করতে
পারদর্শী, আবার ভিন্ন মত হচ্ছে এই যে তাঁরাই বুদ্ধিজীবী যারা বুদ্ধিকে জীবীকা করে
বেঁচে থাকেন। যেহেতু তাঁরা বুদ্ধিকে অর্থাৎ মানসিক শ্রমকে জীবীকা করে বেঁচে থাকেন,
তাই তাঁরা বুদ্ধিজীবী শ্রমিক। যদিও দ্বিতীয় মতটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য, কিন্তু একাংশ
বুদ্ধিজীবীদের আয়ের মাত্রা এতো বেশি যে এদেরকে আর শ্রমিক হিসেবে দেখতে খটকা লাগে
এবং তাই এনিয়ে পুনর্বিবেচনা জরুরি বলেই মনে হয়। তবে বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যারা সমাজ
সংগঠক তাদেরকে দুভাগে ভাগ করা যায় – একদল স্থিতাবস্থার পক্ষে, অন্যদল বিপক্ষে।
প্রথম পক্ষ সত্যের সন্ধানে প্রায়শই আত্মসন্তুষ্টি অনুভব করেন। সেরকম আত্মসন্তুষ্ট
একজন বুদ্ধিজীবীর মন্তব্য দিয়েই লেখাটি শেষ করছি। তাঁর মতে সিগেরেট খাওয়া ও
বিপ্লবী ভূমিকা ছেড়ে দেওয়া যেমন কঠিন, লেখালেখি করা ছেড়ে দেওয়াও সমান কঠিন। সিগেরেট
খাওয়া বাজে কাজ – কারণ তাতে বিধিসম্মত সতর্কীকরণ রয়েছে যে এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের
পক্ষে হানিকর। বিপ্লবী ভূমিকার ক্ষেত্রে সেরকম কোন বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ যদিও নেই,
কিন্তু বিপ্লবী ভূমিকা মানে প্রচলিতের বিপরীতে ভূমিকা পালন করা এবং তাই বাজে কাজ।
সুতরাং সে নিয়ম অনুযায়ী লেখালেখি ততক্ষণই ভাল কাজ, যতক্ষণ তা বিধিসম্মত গণ্ডির
অধীন। আমআদমির বিদ্রোহ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সুযোগ তৈরি করেছে, আবার স্বপ্নের
সিঁড়ি বেয়ে রাতারাতি রাজনীতির পাদপ্রদীপে আসার জন্য অনেকের কাছে হাজির করেছে এক
সুবিধাবাদও। মেহনতি মানুষ পরিস্থিতির সুবিধা নেবে, না বিধিবদ্ধ গণ্ডীর অধীনে থেকে
সুবিধাবাদের আবদ্ধে পড়ে থাকবে তা ভবিষ্যতের গর্ভেই নিহীত।
0 comments:
Post a Comment