অস্থায়ী ঠিকা শ্রমিক-কর্মচারীদের আয় ও সামাজিক সুরক্ষা এবং নাগরিকত্ব, নাগরিক নিরাপত্তার দাবিতে গণকনভেনশন।

Posted by স্বাভিমান Labels: , , , , , , ,










৪ (চার) মার্চ ২০১৮, গান্ধী ভবন, শিলচর।
(ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি’র উদ্যোগে এবং কোরাস ও অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের সহযোগিতায়)

বন্ধুগণ,
     
   বিগত বহু দশক থেকে আসামের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নাগরিকত্ব ও বিদেশি বিতর্ক একটা জ্বলন্ত ও নির্ধারক বিষয় হয়ে থেকেছে। সত্তরের দশকের শেষে আসামের ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক কৃষক আন্দোলনকে বিভাজিত করতে শুরু হয় আসুর উগ্রজাতীয়তাবাদী আন্দোলন৷ আসামের জনগণ বার বার সাক্ষী হয়েছেন নানা প্রতিক্রিয়াশীল আন্দোলন ও রক্তক্ষয়ী গোষ্ঠী সংঘর্ষের। আজ, ২০১৮ সালে NRC নবায়নকে সামনে রেখে, উগ্রজাতীয়তাবাদ তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আবারও ময়দানে নেমেছে৷ মুমূর্ষু আর্থিক অবস্থায় পুঁজিপতি ও বৃহৎ বাজারের খিদে মেটাতে গিয়ে রাষ্ট্রের জন-কল্যাণকামী চরিত্রও লোপ পাচ্ছে। এতে গিয়ে বেকারি, উচ্ছেদ, করের বোঝা,মজুরি ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত আপামর অসমবয়সীর কাছে উগ্র জাতীয়তাবাদ জনসমর্থন হারানোর পথে। ছয় জনগোষ্ঠীর সংরক্ষণের আন্দোলন, সমস্যা জর্জরিত বোড়ো, কার্বি, ডিমাসা সহ অন্যান্য জনজাতীয় গোষ্ঠীর ক্ষোভ, বঞ্চনা নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডী-আদিবাসী চা-শ্রমিকদের সংগ্রাম, ভাটি অসমের দিকে দিকে নিপীড়নের বিরুদ্ধে ভাষিক সংখ্যালঘু জনতার প্রতিরোধের বহিঃপ্রকাশ, আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ লুটের জন্য বেসরকারিকরণ আজ অসমিয়া উগ্র জাতীয়তাবাদকে এক পতনোন্মুখ শক্তিতে পরিণত করেছে। এই পতনোন্মুখ শক্তিকে আবার মাথা তোলার আগেই শেষ ধাক্কা দিয়ে পরাস্ত করে উগ্র জাতীয়তাবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবাদ মুক্ত আসাম গড়ার লক্ষ্যে সমগ্র আসামবাসীর গণতান্ত্রিক ঐক্য সুদৃঢ় করে গণ আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
          (১) আমরা দাবি করছি 
        (ক) সুষ্ঠু এনআরসি রূপায়ণ (খ) কোনো ভেদাভেদ না করে সরল নাগরিকত্ব প্রমাণ ও ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া (গ) সমগ্র আসামবাসীকে একই মানবিক মানদণ্ডে বিচার করা (ঘ) প্রতিটি জনগোষ্ঠীর সম-অধিকার ও সম-মর্যাদা৷
      ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের মতো আসামেও বেকারত্বের সাথে পাল্লা দিয়ে ঠিকা শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে স্থায়ী শ্রমিক নিয়োগের বদলে ঠিকাদারের মাধ্যমে সস্তায় অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ হচ্ছে। এই শ্রমিক-কর্মচারীরা নিয়োজিত রয়েছেন ছোটো বড়ো সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ ও বিভাগে, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পরিবহণের মতো পরিসেবামূলক ক্ষেত্রে, নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে। পরিকাঠামো নির্মাণে নিয়োজিত এই ঠিকা শ্রমিকদের অধিকাংশই আসামের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে, গ্রাম থেকে শহরে বা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গিয়ে কাজ করেন। এই শ্রমিক-কর্মচারীদের আয় ও সামাজিক সুরক্ষা নেই, ন্যূনতম আইনি গ্যারান্টিও রূপায়ণ হয় না। নাগরিক হিসেবে তাদের সামাজিক নিরাপত্তাও বিঘ্নিত। ২০১৬-এর অক্টোবরে ধেমাজি জেলার গোগামুখে ভাটি অসমের ১১ জন শ্রমিককে বাংলাদেশী অভিযোগে পাকড়াও করে জেলে পুরে দেওয়া হয় ও এই কিছুদিন আগে দরং জেলার ধোলায় হাসান আলি নামে এক বাঙালি শ্রমিকের হাজত-মৃত্যুর অভিযোগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের গুলিতে মহিদূল হক নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশী অভিযোগে শ্রমিকদের উপর নির্যাতন ইদানীংকালে বেড়ে চলেছে।
        (২) আমরা এই শ্রমিক-কর্মচারীদের আয় ও সামাজিক নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার দাবি করছি।
       ঠিকা শ্রমিক (কন্ট্রাক্ট লেবার) আইনের আসাম রুল, ১৯৭১ অনুযায়ী এই আইন রূপায়ণের জন্য রাজ্যে উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করতে হয়। ঠিকাদার বা নিয়োগকারীর পক্ষে ৪ জন ও শ্রমিকদের পক্ষে বিভিন্ন ইউনিয়নের ৪ জন প্রতিনিধি ৩ বছরের মেয়াদে এই বোর্ডে সামিল হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের মধ্যে আসামে এই বোর্ড গঠন করা হয়নি। ফলে মালিকপক্ষ ঠিকা শ্রমিকদের প্রতি মর্জি মাফিক ব্যবহার করে এবং শ্রমিকদের মজুরি ও সামাজিক সুরক্ষাজনিত সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে। এই আইন অনুযায়ী ঠিকাদারের নিয়োগকারী সরকারি ও বেসরকারি বিভাগ/প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি এই আইনের রূপায়ণের ব্যাপারে ঠিকা-শ্রমিকদের মুখ্য নিয়োগদাতা হিসেবে দায়বদ্ধ থাকে। কিন্তু বর্তমান সরকার আইনের এই বিধান উঠিয়ে দিয়ে ঠিকাদারদের যথেচ্ছাচারের উপর শ্রমিকদের ভাগ্য তুলে দিতে চাইছে।
         এই আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের জন্য
       (ক) পর্যাপ্ত বিশ্রামের স্থান (খ) ক্যান্টিন (গ)আপতকালীন চিকিৎসার ব্যবস্থা (ঘ) মুখ্য নিয়োগকর্তার উপস্থিতিতে ৭-১০ দিনের মধ্যে সাপ্তাহিক মজুরি প্রদান (ঙ) মজুরি রেজিস্টার, ওভারটাইম রেজিস্টার (চ) ১৯ নং ফর্ম (রুল ৭৮-২-ব) অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি স্লিপ প্রদান ইত্যাদির গ্যারান্টি প্রদান করেছে। উপরন্তু, ঠিকাদার যাতে ন্যূনতম মজুরি আইন লঙ্ঘন করতে না পারে তারজন্য মুখ্য নিয়োগকর্তা দায়বদ্ধ থাকবে।
      (৩) আমরা উপরোক্ত আইনের সঠিক রূপায়ণ ও আইন অনুযায়ী পরামর্শদাতা বোর্ড গঠনের দাবি জানাচ্ছি এবং মুখ্য নিয়োগকারীর দায়বদ্ধতা উঠিয়ে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি।
       এই তিন দফা দাবির ভিত্তিতে আমরা আগামী ৪ মার্চ, বেলা ১১টায় শিলচর গান্ধী ভবনে এক গণ-কনভেনশনে মিলিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। 
_________________________________________
ফোরাম ফোর সোশ্যাল হারমনির পক্ষে- অরিন্দম দেব, ফারুক লস্কর।
কোরাস-এর পক্ষে - নীলকান্ত দাস, স্নিগ্ধা নাথ, আজিম বড়ভূঁইয়া।
অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে - ধরিত্রী শর্মা, নোমান আহমেদ, পারভেজ লস্কর।

⧭⧭⧭⧭⧭⧭⧭⧭⧭⧭⧭⧭⧭⧭⧭



অস্থায়ী ঠিকা শ্রমিক-কর্মচাৰীসকলৰ আয় আৰু সামাজিক সুৰক্ষা আৰু নাগৰিকত্ব, নাগৰিক নিৰাপত্তাৰ দাবীত গণ কনভেনশ্যন।
৪ (চাৰি) মার্চ ২০১৮, গান্ধী ভৱন, শিলচৰ।
('ফ'ৰাম ফৰ ছ'চিয়েল হাৰমনি’ৰ উদ্যোগত, কোৰাছ আৰু অসম মজুৰি শ্রমিক ইউনিয়নৰ সহযোগিতাত)



বন্ধুসকল,
   
(C)Image:ছবি
বিগত বহু দশকৰ পৰা অসমৰ সামাজিক আৰু ৰাজনৈতিক ক্ষেত্রখনত নাগৰিকত্ব আৰু বিদেশী বিতর্কটো এটা জ্বলন্ত আৰু নির্ধাৰক বিষয় হিচাপে পৰিগণিত হৈ আহিছে । সত্তৰৰ দশকৰ শেষৰ পিনে অসমৰ ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক-খেতিয়ক আন্দোলনক বিভাজিত কৰিবৰ বাবে আছুৰ উগ্রজাতীয়তাবাদী আন্দোলন আৰম্ভ হয়৷ অসমৰ জনগণ বাৰে বাৰে নানা প্রতিক্রিয়াশীল আন্দোলন আৰু ৰক্তক্ষয়ী গোষ্ঠী সংঘর্ষৰ চিকাৰ হৈ আহিছে। আজি, ২০১৮ চনত NRC নৱীকৰণৰ গইনা লৈ, উগ্রজাতীয়তাবাদে তাৰ অস্তিত্ব টিকাই ৰাখিবলৈ আকৌ পথাৰত নামিছে ৷ মৃত্যুমুখী আর্থিক অৱস্থাত পুঁজিপতি আৰু বৃহৎ বজাৰৰ ভোক মিটাবলৈ ৰাষ্ট্রৰ জনকল্যাণকামী চৰিত্রও লোপ পাবলৈ লৈছে। ফলস্বৰূপে বেকাৰি, উচ্ছেদ, কৰৰ বোজা, মজুৰি ইত্যাদি সমস্যাত জর্জৰিত সাধাৰণ অসমবাসীৰ ওচৰত উগ্রজাতীয়তাবাদৰ জনসমর্থন হেৰাবলৈ আৰম্ভ কৰিছে। ছয় জনগোষ্ঠীৰ সংৰক্ষণৰ আন্দোলন, সমস্যা জর্জৰিত বড়ো, কার্বি, ডিমাছা সহিতে অন্যান্য জনজাতীয় গোষ্ঠীৰ ক্ষোভ, বঞ্চনা-নিপীড়নৰ বিৰূদ্ধে সংগ্রাম, ঝাড়খণ্ডী-আদিবাসী চাহ শ্রমিকসকলৰ সংগ্রাম, নামনি অসমৰ কেউদিশে নিপীড়নৰ বিৰুদ্ধে ভাষিক সংখ্যালঘু জনতাৰ প্রতিৰোধৰ বহিঃপ্রকাশ, অসমৰ প্রাকৃতিক সম্পদ লুটৰ বাবে কৰা বেচৰকাৰীকৰণে আজি অসমীয়া উগ্রজাতীয়তাবাদক এক পতনোন্মুখ শক্তিত পৰিণত কৰিছে। এই পতনোন্মুখ শক্তিয়ে আকৌ মূৰ দাঙি উঠাৰ আগতেই ইয়াক শেষ ধাক্কা দি পৰাস্ত কৰি উগ্রজাতীয়তাবাদ আৰু সাম্প্রদায়িকতাবাদ-মুক্ত অসম গঢ়াৰ লক্ষ্যৰে সমগ্র অসমবাসীৰ গণতান্ত্রিক ঐক্য সুদৃঢ় কৰি গণ আন্দোলনৰ পিনে আগ বঢ়াই লৈ যাব লাগিব।
           (১) আমি দাবী জনাওঁ -
       (ক) শুদ্ধ এনআৰচি ৰূপায়ণ (খ) কোনো প্রকাৰ ভেদাভেদ নকৰাকৈ সৰল নাগৰিকত্ব প্রমাণ আৰু ভেৰিফিকেশ্যন প্রক্রিয়া (গ) সমগ্র অসমবাসীক একেই মানৱিক মানদণ্ডত বিচাৰ কৰা (ঘ) প্রতিটো জনগোষ্ঠীৰ সমান অধিকাৰ আৰু সমান মর্যাদা৷
        ভাৰতবর্ষৰ বিভিন্ন ৰাজ্যৰ দৰে অসমতো বেকাৰত্বৰ লগত, ঠিকা শ্রমিক-কর্মচাৰীৰ সংখ্যা দিনে দিনে বাঢ়ি গৈ আছে। চৰকাৰী আৰু বেচৰকাৰী ক্ষেত্রত স্থায়ী শ্রমিক নিয়োগৰ সলনি ঠিকাদাৰৰ মাধ্যমেৰে সস্তাত অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ কৰা হৈ আছে। এই শ্রমিক-কর্মচাৰীসকল নিয়োজিত হৈ আছে সৰু-ডাঙৰ চৰকাৰী-বেচৰকাৰী উদ্যোগ আৰু বিভাগত, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পৰিবহণৰ দৰে পৰিসেৱামূলক ক্ষেত্রত, নির্মাণ শ্রমিক হিচাপে বিভিন্ন পৰিকাঠামোগত ক্ষেত্রত। পৰিকাঠামো নির্মাণত নিযুক্ত এই ঠিকা শ্রমিকসকলৰ অধিকাংশই অসমৰ এক অঞ্চলৰ পৰা আন অঞ্চলৈ, গাঁৱৰ পৰা চহৰলৈ নাইবা এক জিলাৰ পৰা আন জিলাত গৈ কাম কৰে। এই শ্রমিক-কর্মচাৰীসকলৰ আয় আৰু সামাজিক সুৰক্ষা নাই, ন্যূনতম আইনী গেৰান্টিও ৰূপায়ণ নহয়। নাগৰিক হিচাপে তেওঁলোকৰ সামাজিক নিৰাপত্তাও বিঘ্নিত। ২০১৬ৰ অক্টোবৰ মাহত ধেমাজি জিলাৰ গোগামুখত নামনি অসমৰ ১১জন শ্রমিকক বাংলাদেশীৰ অভিযোগত ধৰি জে'লত ভৰাই দিয়া হয়। কেইদিনমানৰ আগতে দৰং জিলাৰ ধোলাত হাছান আলী নামৰ এজন বাঙালী শ্রমিকৰ হাজোতত মৃত্যু হোৱাৰ অভিযোগৰ বিৰুদ্ধে বিক্ষোভ জনোৱা ৰাইজৰ ওপৰত আৰক্ষীয়ে গুলি চলালে আৰু মহিদুল হক নামৰ এজন লোকৰ মৃত্যু হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশীৰ অভিযোগত শ্রমিকসকলৰ ওপৰত নির্যাতন বাঢ়ি গৈ আছে।
       (২) আমি এই শ্রমিক-কর্মচাৰীসকলৰ আয় আৰু সামাজিক নিৰাপত্তাৰ লগতে নাগৰিক অধিকাৰৰ দাবী জনাওঁ।
     ঠিকা শ্রমিক (কনট্রেক্ট লেবাৰ) আইনৰ আছাম ৰুল, ১৯৭১ অনুসাৰে এই আইন ৰূপায়ণৰ বাবে ৰাজ্যত উপদেষ্টা ব'র্ড গঠন কৰিব লাগে। ঠিকাদাৰ অথবা নিয়োগকাৰীৰ পক্ষত চাৰি (৪) জন আৰু শ্রমিকসকলৰ পক্ষত বিভিন্ন ইউনিয়নৰ চাৰি (৪) জন প্রতিনিধি ৩ বছৰৰ ম্যাদত এই ব'র্ডত চামিল হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়জুৰি অসমত এই ব'র্ড গঠন কৰা হোৱা নাই। ফলস্বৰূপে মালিকপক্ষই ঠিকা শ্রমিকসকলক নিজৰ মর্জি অনুসৰি ব্যৱহাৰ কৰে আৰু শ্রমিকসকলক মজুৰি আৰু সামাজিক সুৰক্ষাজনিত সকলো ধৰণৰ সুযোগ সুবিধাৰ পৰা বঞ্চিত কৰি থাকে। এই আইন অনুসৰি ঠিকাদাৰৰ নিয়োগকাৰী চৰকাৰী আৰু বেচৰকাৰী বিভাগ/প্রতিষ্ঠান/কোম্পানী এই আইনৰ ৰূপায়ণৰ বিষয়ে ঠিকা-শ্রমিকসকলৰ মুখ্য নিয়োগকর্তা হিচাপে দায়বদ্ধ থাকে। কিন্তু বর্তমানৰ চৰকাৰে আইনৰ এই বিধান উঠাই দি ঠিকাদাৰসকলৰ যথেচ্ছাচাৰৰ ওপৰত শ্রমিকসকলৰ ভাগ্য গতাই দিব বিচাৰিছে।
      এই আইন অনুসৰী শ্রমিকসকলৰ বাবে
   (ক) পর্যাপ্ত বিশ্রামৰ স্থান (খ) কেন্টিন (গ) আপদকালীন চিকিৎসাৰ বাবে ব্যৱস্থা (ঘ) মুখ্য নিয়োগকর্তাৰ উপস্থিতিত ৭-১০ দিনৰ ভিতৰত সাপ্তাহিক মজুৰি প্রদান (ঙ) মজুৰি ৰেজিস্টাৰ, অভাৰটাইম ৰেজিস্টাৰ (চ) ১৯ নং ফর্ম (ৰুল ৭৮-২-ব) অনুসৰি শ্রমিকসকলক মজুৰি স্লিপ প্রদান ইত্যাদিৰ গেৰান্টি প্রদান কৰিছে। তদুপৰি, ঠিকাদাৰে যাতে ন্যূনতম মজুৰি আইন লঙ্ঘন কৰিব নোৱাৰে তাৰ বাবে মুখ্য নিয়োগকর্তা দায়বদ্ধ থাকিব।
    (৩) আমি উপৰোক্ত আইনৰ সঠিক রূপায়ণ আৰু আইন অনুযায়ী পৰামর্শদাতা ব'র্ড গঠনৰ দাবী জনাইছো আৰু মুখ্য নিয়োগকাৰীৰ দায়বদ্ধতা উঠাই দিয়াৰ কেন্দ্র চৰকাৰৰ প্রস্তাৱৰ বিৰোধিতা কৰিছো।
   এই তিনি দফা দাবীৰ ভিত্তিত আমি অহা ৪ মার্চ, দিনৰ ১১ বজাত শিলচৰ গান্ধী ভৱনত এক গণ-কনভেনশ্যনত মিলিত হোৱাৰ আহ্বান জনাইছো। 

_________________________________________
'ফ'ৰাম ফৰ ছ'চিয়েল হাৰমনি'ৰ হৈ - অৰিন্দম দেব, ফাৰূক লস্কৰ।
কোৰাছ-ৰ হৈ - নীলকান্ত দাস, স্নিগ্ধা নাথ, আজিম বড়ভুইয়া।
অসম মজুৰি শ্রমিক ইউনিয়নৰ হৈ - ধৰিত্রী শর্মা, নুমান আহমেদ, পাৰভেজ লস্কৰ।



0 comments:

স্বাভিমান:SWABHIMAN Headline Animator

^ Back to Top-উপরে ফিরে আসুন