তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া - এক
Posted by
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া - এক
শহর গুয়াহাটি। আসামের রাজধানী শহর। ফ্ল্যাটবাড়ি, পাঁচতলায় ড্রইং রুমে। সন্ধ্যার আকাশ নীচে নেমে এসেছে। শহর গুয়াহাটি, রহস্যময় তারামণ্ডল। বেতাল ড্রইং রুমের ছাদে লটকে আছে। কাঁধে চাপছে না। ড্রইং রুমে শুধু পিপীলিকা আর হাতী।বাইরে বেরোলাম। ফুটপাথ ধরে হাঁটছি।পাশ দিয়ে বিচ্ছুরিত আলোর মাঝ দিয়ে শোঁ শোঁ করে ছোট বড় যন্ত্রগুলো বেরিয়ে যাচ্ছে। পিপীলিকাও নয়, হাতীও নয়,কী যেন মাঝে মাঝে সামনে চলে আসে। কোনমতে পাশ কাটিয়ে হেঁটে চলেছি।
আকাশ সরে গেছে, উপরে উঠে গেছে। তাজা খবরের জন্য এদিক ওদিক ঘুরলাম। না, পেলাম না,বাসি খবরেই ছয়লাপ। পকোড়া, বাদাম ভাজা, ব্ল্যাক চকোলেট, পিৎজা। রকমারি পসরা, কনজ্যুমারিজম। বাজার – বাজার - বাজার, কিনে খাও, খাও কিনে। পেটটা মোচড় দিয়ে উঠলো। ভাবছি সেঁধিয়ে দেবো।কাকে? অসমিয়া পুঁজি, না বহুজাতিক পুঁজি। ঘাড়ের ব্যাথাটা বেড়ে গেলো। শালা, বেতালটা চেপে বসেছে।
খাবে খাও, রক্ত খাও, মানুষের রক্ত। তাজা নয়, চকোলেট হয়ে জমে যাওয়া রক্ত।
তাজা রক্ত খাবে? চলো বারে যাই।
ঢুকে গেলাম।এক পেগ, দু’পেগ তাজা রক্ত।
মোবাইল বেজে উঠল,মানুষের খবর, তাজা খবর।
আবার ফুটপাথ ধরে হাঁটা। ফাঁকা পথ। আকাশ পৃথিবী মিলেমিশে একাকার। একটা মানুষ পাওয়া গেলো, আঁধারে দাঁড়িয়ে আছে।
চলুন, এগিয়ে যাই।
না যেতে পারি না, আমার মূল্যবান জিনিষ এখানে হারিয়ে গেছে।
তাহলে খুঁজুন।
আঁধারে খুঁজে কী লাভ?
এই তো, সম্বিত ফিরে পেয়েছেন। তাহলে চলুন, এগিয়ে যাই। আলোতে যাই, সেখানে খোঁজা শুরু করি।
এগিয়ে চললাম। বেতাল ঘাড় থেকে নেমে গেলো। ড্রইং রুমের ছাদেও নেই। কী ছাইপাশ ভাবছি, বেতাল মাথাটা গুলিয়ে দিল নাকি? বইটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। কভার পেজে বড় হরফে লেখা “হাও উইল ক্যাপিটেলিজম এণ্ড?”।
শহর গুয়াহাটি। আসামের রাজধানী শহর। ফ্ল্যাটবাড়ি, পাঁচতলায় ড্রইং রুমে। সন্ধ্যার আকাশ নীচে নেমে এসেছে। শহর গুয়াহাটি, রহস্যময় তারামণ্ডল। বেতাল ড্রইং রুমের ছাদে লটকে আছে। কাঁধে চাপছে না। ড্রইং রুমে শুধু পিপীলিকা আর হাতী।বাইরে বেরোলাম। ফুটপাথ ধরে হাঁটছি।পাশ দিয়ে বিচ্ছুরিত আলোর মাঝ দিয়ে শোঁ শোঁ করে ছোট বড় যন্ত্রগুলো বেরিয়ে যাচ্ছে। পিপীলিকাও নয়, হাতীও নয়,কী যেন মাঝে মাঝে সামনে চলে আসে। কোনমতে পাশ কাটিয়ে হেঁটে চলেছি।
আকাশ সরে গেছে, উপরে উঠে গেছে। তাজা খবরের জন্য এদিক ওদিক ঘুরলাম। না, পেলাম না,বাসি খবরেই ছয়লাপ। পকোড়া, বাদাম ভাজা, ব্ল্যাক চকোলেট, পিৎজা। রকমারি পসরা, কনজ্যুমারিজম। বাজার – বাজার - বাজার, কিনে খাও, খাও কিনে। পেটটা মোচড় দিয়ে উঠলো। ভাবছি সেঁধিয়ে দেবো।কাকে? অসমিয়া পুঁজি, না বহুজাতিক পুঁজি। ঘাড়ের ব্যাথাটা বেড়ে গেলো। শালা, বেতালটা চেপে বসেছে।
খাবে খাও, রক্ত খাও, মানুষের রক্ত। তাজা নয়, চকোলেট হয়ে জমে যাওয়া রক্ত।
তাজা রক্ত খাবে? চলো বারে যাই।
ঢুকে গেলাম।এক পেগ, দু’পেগ তাজা রক্ত।
মোবাইল বেজে উঠল,মানুষের খবর, তাজা খবর।
আবার ফুটপাথ ধরে হাঁটা। ফাঁকা পথ। আকাশ পৃথিবী মিলেমিশে একাকার। একটা মানুষ পাওয়া গেলো, আঁধারে দাঁড়িয়ে আছে।
চলুন, এগিয়ে যাই।
না যেতে পারি না, আমার মূল্যবান জিনিষ এখানে হারিয়ে গেছে।
তাহলে খুঁজুন।
আঁধারে খুঁজে কী লাভ?
এই তো, সম্বিত ফিরে পেয়েছেন। তাহলে চলুন, এগিয়ে যাই। আলোতে যাই, সেখানে খোঁজা শুরু করি।
এগিয়ে চললাম। বেতাল ঘাড় থেকে নেমে গেলো। ড্রইং রুমের ছাদেও নেই। কী ছাইপাশ ভাবছি, বেতাল মাথাটা গুলিয়ে দিল নাকি? বইটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। কভার পেজে বড় হরফে লেখা “হাও উইল ক্যাপিটেলিজম এণ্ড?”।
0 comments:
Post a Comment