নাটক ও দর্শক-শ্রোতার আন্তঃক্রিয়া

Posted by স্বাভিমান Labels: , , ,

নাটকের শিল্পগুণ

      
     ত ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারী কোরাসের উদ্যোগে বরাক-উপত্যকাব্যাপী নাট্য-পরিক্রমা হয়ে গেল এবং এই পরিক্রমার মূল্যায়ন করার জন্য কোরাস ১৬ ফেব্রুয়ারী মধ্যশহর সাংস্কৃতিক সংস্থার হলে এক অন্তরঙ্গ আলাপচারিতার আয়োজন করে। সেই আলোচনায় অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন হয়। শহরের নাট্যচর্চার সাথে ব্যাপক শ্রমজীবী মানুষের সংযোগ স্থাপনের প্রশ্নটি এই আলোচনায় কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে উঠে আসে। চিত্রভানু ভৌমিকের উত্থাপিত প্রশ্নের মধ্যেও এই কেন্দ্রীয় বিষয়টিই নিহিত ছিল। তিনি প্রশ্ন তুলেন যে শ্রমজীবী মানুষের সাথে সংযোগ গড়ে তোলার প্রশ্নকে প্রাধাণ্য দিতে গিয়ে নাটকের শিল্পগুণ কী বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না? এই গুরুত্ত্বপূর্ণ প্রশ্নের সাথে একটা পরিপূরক প্রশ্ন যদি উত্থাপন করা যায় তাহলে এই আশঙ্কার সমাধানের জন্য একটা নতুন নাট্যরূপ নির্ধারণের পথের সন্ধানের দিকে আমরা এক কদম এগিয়ে যেতে পারি। শ্রমজীবী মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন ছাড়া শিল্পগুণ সম্পন্ন নতুন নাটক গড়ে তোলা কী সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর সন্ধানের মধ্যেই এই নিবন্ধকে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে এবং এই সন্ধান করা হয়েছে কোরাসের নাট্য পরিক্রমার মূল্যায়নের মধ্যে।

আধুনিক ও তাৎক্ষনিক নাটক

  
  
        কোরাসের উদ্যোগে এবারের নাট্য-পরিক্রমা অনুষ্ঠিত হয় প্রায় দু’দশক পর। দু’দশক আগে যখন পরিক্রমা হয়েছিল তৃতীয় ধারার নাট্য-আন্দোলনের প্রাণশক্তি এতোটা ক্ষয়ে যায়নি। বরাক উপত্যকার বিভিন্ন শহরে বেশকয়েকটি তৃতীয় ধারার নাট্যগোষ্ঠী তখন সক্রিয় ছিল। মূলত ঐ নাট্যগোষ্ঠীগুলোর উপর নির্ভর করেই বরাক-উপত্যকা পরিক্রমা সংগঠিত করা হয়। এই নাট্যপরিক্রমার উদ্দেশ্যই ছিল বৃহত্তর দর্শক তথা শ্রমজীবী মানুষের সামনে নাটক উপস্থাপন করা। মূলত নাট্যব্যাক্তিত্ত্ব বাদল সরকারের লেখা আধুনিক নাটক গ্রামসমাজের কাছে পৌঁছে দেওয়া হত এই পরিক্রমায়। এই আধুনিক নাটকগুলির সাথে কিছু তাৎক্ষণিক নাটকও তৈরি হয়ে যেত যার রসদ সংগ্রহ হত     দর্শক-শ্রোতাদের সাথে আলাপচারিতায়। কিন্তু তাত্ত্বিক সূত্রায়ণ এই ছিল যে তাৎক্ষণিক নাটকগুলো করা হচ্ছে প্রয়োজনের তাগিদে, আর শিল্পগুণ সম্পন্ন আধুনিক নাটক দেখে দর্শক আসলে অনেক কিছু শিখছে এবং এখানেই আমাদের শৈল্পিক পারদর্শিতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার সংযোগস্থল। এই ভাবনা ও নাটকের বিষয় ও উপস্থাপনার মধ্যে কী কোন গলদ রয়েছে? এব্যাপারটা খানিকটা বিশদভাবে বিচার করে দেখা যাক।

          আমরা যখন ধরে নেই যে আমাদের আধুনিক নাটক দেখে ওরা কিছু শিখছে, তখন একপক্ষ দাতা এবং অন্যপক্ষ গ্রহীতা, সেখানে দেওয়া–নেওয়া বা আদান-প্রাদানের কোন সুযোগ নেই, ওদের প্রতিক্রিয়া দেখে আমি উৎফুল্ল হচ্ছি কারণ এটা আমাদের কৃতিত্ব। ওদের কাছ থেকে রসদ নিয়ে যখন তাৎক্ষণিক নাটক করছি, তখনও কিন্তু নির্মাণটা আমাদের – উপস্থাপনাও আমাদের। তাহলে এক্ষেত্রে আমরা যাকে সংযোগ বলে ধরে নিচ্ছি, তা কী সত্যিকারের সংযোগ? এটা যদি সত্যিকারের সংযোগ না হয়, তাহলে কী ধরে নিতে হবে যে কোন ধরণের সর্বজনীন আধুনিক নাটক সম্ভব নয়? এবার এই দুটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করা যাক।

জনসংযোগ ও সর্বজনীন নাটক

           আমরা নাট্যশিল্পের মাধ্যমে কিছু একটা বললাম, ওরা শুনল। এই শোনার প্রতিক্রিয়ায় মস্তিষ্কে যে রসায়ন সৃষ্টি হল তাতে পরবর্তীতে কিছু একটা করল। কিন্তু তাতে নতুন কিছু তৈরি হল না, পুতুলটিতে যতটুকু দম দেওয়া হল সে অনুযায়ী পুতুলটি নাচল – তারপর আবার স্থানু অবস্থায় ফিরে এল। গুরু-শিক্ষককের সম্পর্কে যা হয় – সেটা তার থেকে খানিকটা বেশি – এখানে তোতাপাখিটা নিজের কথাও কিছু বলে। যারা শুনল তাদের খানিকটা লাভ ছাড়া ক্ষতি হলো না, কিন্তু যারা শোনাল তাদের কিন্তু মস্ত ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিল। কেউ হয়ত সংযোগ স্থাপনের আত্মগরিমায় ভুগল, কেউ এই সংযোগস্থাপনের কর্মটিই আসলে এক মায়া এভাবে ভাবতে আরম্ভ করল। তাই যদি হয় – তাহলে তো বলতে হয় সর্বজনীন নাটক বলে কিছু হওয়ার নয়। এই বিষয়টি একটু জটিল। সামগ্রীকভাবে একটি স্থান-কালের সীমার অধীনে অনেকগুলি স্থান-কাল রয়েছে। সামগ্রীক       স্থান-কালের বিষয়বস্তু নিয়ে নাটক যা স্বাভাবিকভাবেই সর্বজনীন হওয়া উচিত, তাকে যখন নির্দিষ্ট আলাদা আলাদা স্থান-কালের মধ্যে উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে সেই স্থান-কালের নির্দিষ্টতার সাথে যুক্ত হতে হয় এবং এই যুক্ত হওয়া তখনই সম্ভব হয়ে উঠে যখন বিষয় ও আঙ্গিক উভয়ই এই নির্দিষ্টতার সাথে খাপ খাওয়ার জন্য পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ শ্রেণিবিভক্ত সমাজে উৎপাদন সম্পর্কের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে নাটকের সর্বজনীনতার কোন চূড়ান্ত রূপ নেই, এটা এক ভাঙা-গড়ার নিরন্তর প্রক্রিয়া। এজন্যই কোরাসের শহরের শিল্পীদের অভিনিত বাদল সরকারের নাটক ‘বাসি খবর’ যখন বড়সিঙা চা-বাগানের ‘লেড়কা দফার’ ছেলে-মেয়েরা অভিনয় করে তখন বিষয়-আঙ্গিকের দিক দিয়ে সেটা নতুন মাত্রা পায়। এই নতুন মাত্রা দেওয়ার জন্য আমাদের সেই সমাজকে জানার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যে প্রক্রিয়ায় ওরাও কথা বলে। সেখান থেকে শুরু হয় সংযোগ স্থাপনের এক তাত্ত্বিক নির্মাণ, যেখানে উভয় পক্ষ কথা বলছে। কী হতে পারে সেই তত্ত্ব যেখানে শিল্পগুণ হারানোর কোন ভয় থাকবে না, অথচ দর্শকের সাথে সংযোগ স্থাপনের সমস্যাও মিটবে।     
 

নাটকের আলাপচারিতা

          এই যে কোরাসের উদ্যোগে গোল-টেবিল বৈঠক হল, সেই ঘনিষ্ঠ আলাপচারিতায় কিছু লোক নিজেদের মধ্যে যুক্তির মাধ্যমে মত বিনিময় করল, আবার নাটকের আঙিনায় আসা কিছু নতুন ছেলে-মেয়েরা শুধুই শুনল। অর্থাৎ মতের আদান-প্রদান ও আবার শুধুই শিক্ষা প্রদান – সংযোগ স্থাপনের দুটি রূপই যুগপৎভাবে সেখানে ক্রিয়াশীল ছিল। কিন্তু এতে প্রধান ধারাটি ছিল যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে মতের আদান-প্রদান যার নিষ্পত্তিতে একটা নতুন মতের সৃষ্টি হতে পারে যা আগে বিদ্যমান ছিল না। নাটক সেরকমই এক আলাপচারিতা যেখানে ভাবের বিনিময় হয় এক নির্দিষ্ট শিল্পরূপে অংশগ্রহণকারীদের সাথে বাকী দর্শক-শ্রোতাদের। নাটকের আলাপচারিতায় অংশগ্রহণকারী দুটি ক্যাটাগরি ভিন্ন ভিন্ন। একদল নাটক করছে ও আরেকদল দেখছে ও শুনছে। এই দুই ক্যাটাগরির মধ্যে কায়িক দূরত্ব একই সমতলের উপস্থাপিত নাটকের তূলনায় মঞ্চ নাটকের ক্ষেত্রে বেশি। যেহেতু কায়িক ও মানসিক দূরত্ব অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, তাই সমতলে উপস্থাপিত নাটকে উভয় ক্যাটাগরির মধ্যে সংযোগ-স্থাপনের সম্ভাবনা অনেক বেশি। কিন্তু তাতে মৌলিক প্রশ্নটির নিষ্পত্তি হয় না। অর্থাৎ নাটক কী একপক্ষেরই শেখা ও শেখানোর প্রধান শিল্পমাধ্যম হয়ে থাকবে, না তা হয়ে উঠবে উভয় পক্ষের মধ্যে এক ঘনিষ্ঠ আলাপচারিতা? যদিও বাস্তবে এই দুটি দিক সর্বক্ষেত্রেই বিরাজমান, কিন্তু প্রশ্ন হলো কোনটি হবে প্রধান দিক? উভয় ক্ষেত্রেই নাটকের বিষয় ও রূপকে এক রাখা কী সম্ভব? শ্রমজীবী মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপনের উপর গুরুত্ব দিতে গিয়ে নাটকের শিল্পগুণের সাথে কী সমঝোতা করতে হবে? এখানেই এসে যায় উৎপাদন সম্পর্ক বা আর্থিক-সামাজিক সম্পর্কগুলি ও তার পরিবর্তনের ধারাকে বোঝা, জানা ও অনুধাবনের বিষয়টি। এই রাজনৈতিক প্রয়াসকে দূরে সরিয়ে রেখে এই শিল্পমাধ্যম বিকশিত হতে পারে বলে আমার মনে হয় না। এটা কেন জরুরি ও কীভাবে তার অগ্রগতি সম্ভব সংক্ষেপে এর বিচার করা যাক এবং কোরাসের এবারের পরিক্রমা থেকে তার একটা উত্তর সন্ধান করা যাক।

শ্রমজীবীদের সাথে সংযোগ ও নতুন নাটক

             যখন কোন বিখ্যাত লোকের লেখা নাটক অভিনীত হয়, তখন সেই নাটকের জন্ম-ইতিহাস চর্চা করার কোন সুযোগ থাকে না, সুযোগ থাকে না লেখক যে পরিবর্তনশীল উৎপাদন-সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত ভাবের প্রকাশ এই নাটকে করেছেন তাকে বিচার করার। বর্তমান উৎপাদন-সম্পর্কের বাস্তব পরিস্তিতিতে নির্দিষ্ট সামাজিক অবস্থান আমাদের যে মনোজগত তৈরি করেছে তা দিয়েই আমরা এর প্রাসঙ্গিকতা বিচার করি এবং যখন নাটকটি উপস্থাপিত হয় তখন কিন্তু লিখিত নাটকটি আর অবিকল থাকে না, আমাদের বাস্তবতা তাকে কোন না কোনভাবে প্রভাবিত করে। নাটকটি করার মধ্য দিয়ে আমাদের বাস্তব অবস্থানের সাথে সেই লিখিত পুরোনো নাটকের বিষয়ের এক যোগসূত্র স্থাপিত হয় এবং যখন নাটকটি মঞ্চস্থ হয় তখন এই যোগসূত্রটিই ক্রিয়াশীল থাকে আমাদের    সম-অবস্থানের দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে নাটকের বোধকে ছড়িয়ে দিতে। কিন্তু আমাদের অবস্থান বর্তমান বাস্তবের এক অতি-সীমাবদ্ধ অংশমাত্র এবং তাই বৃহত্তর দর্শক-শ্রোতাদের সাথে সংযোগস্থাপনে এই শিল্প-পরিবেশন অপারগ। সুতরাং সংযোগ স্থাপনের প্রশ্নটি বর্তমান পরিবর্তনশীল সামাজিক সম্পর্ককে জানা ও বোঝার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু সমস্যা হলো সেই পরিবর্তনশীল সম্পর্ক ও তার থেকে উদ্ভূত ভাবকে আমরা ততটুকুই জানতে পারি যতটা সে নিজেকে উন্মোচিত করে। সেই উন্মোচন ততটাই ঘটে যতটা শ্রমজীবী মানুষ তার বর্তমান অমানবিক    আর্থ-সামাজিক সম্পর্ককে ভাঙতে সচেষ্ট হয়। এই ভাঙার প্রচেষ্টায় শ্রমজীবী মানুষ তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরম্পরাকেও ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে নিয়ে যায়। ফলে কায়িক যোগসূত্র ঘটালে অর্থাৎ শহরের নাটক তাদের কাছে নিয়ে গেলে বিষয় ও আঙ্গিকের নতুন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়, কারণ এখানে উভয়পক্ষই কথা বলতে শুরু করছে। সেই সংগ্রামের সাথে যুক্ত হওয়াটা নাটকের জন্যই প্রয়োজনীয়, নাটক ও দর্শক-শ্রোতাদের সংযোগস্থাপন ও নতুন সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয়। বাস্তব যতক্ষণ সেভাবে উন্মোচিত না হয়, ততক্ষণ এই সংযোগ স্থাপনের প্রশ্নটি নিজে শেখা ও শেখানোর উদ্দেশ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই সীমাবদ্ধ উদ্যোগও কম গুরুত্ত্বপূর্ণ নয় – কিন্তু একেই একমাত্র লক্ষ্য করে নিলেই বিপদ।

নাটকের রাজনীতি

    

পরিস্থিতি অনুযায়ী নমনীয়তা নাটকের এক বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত এবং তাই পরিস্থিতি বিশ্লেষণের মধ্য দিয়েই বিষয়-আঙিকের এই নমনীয় কাঠামোর ভাঙাগড়ার যাত্রা অব্যাহত রাখা সম্ভব এবং সেটাই নাটকের রাজনীতি। নাটকের শিল্পগুণ সৃষ্টির পরিকল্পনা যেহেতু কোন শূন্যগর্ভ থেকে আমাদের মস্তিষ্ক ও মনোজগতে চালিত হয় না, সেটা তৈরি হয় পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা বিষয়-আঙিকের বিভিন্ন বাস্তবতার মধ্য থেকে এবং নাট্যকারের সুচারু হস্তক্ষেপে, তাই ভাল নাটকের জন্য এই রাজনীতি চর্চা অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ। কোরাসের ১৯৯১-৯২-এর পরিক্রমা ছিল সাম্প্রদায়িকতার কড়াল গ্রাস থেকে মানুষকে বের করে আনার এক শিক্ষামূলক অভিযান যে অভিযানের সুফল উপর থেকে অনুধাবন করা যায় না, সমাজের অভ্যন্তর থেকে দেখতে হয়। এবারের পরিক্রমা ছিল ভেতরের ও বাইরের দুই বিপরীতমুখী চেতনা-প্রবাহের এক আন্তঃক্রিয়া যেখানে উভয়পক্ষ কথা বলছে। শ্রমজীবী মানুষরা নিজেরা নাটক করছে, আধুনিক বয়ানকে তার ঐতিহ্যের সাথে মিলিয়ে নিচ্ছে এবং সেসব অঞ্চলেই সমস্ত সামাজিক-রাজনৈতিক আপত্তিকে অস্বীকার করে মানুষ ব্যাপকভাবে অংশ নিচ্ছে যেখানে শ্রমজীবীদের প্রচলিত আর্থ-সামাজিক সম্পর্কের গণ্ডী অতিক্রম করার কোন না কোন প্রয়াস রয়েছে। এই প্রক্রিয়ার অঙ্কুরোদ্গমনই এবারের পরিক্রমার বিশেষত্ব যার উত্তোরোত্তর বিকাশ নাট্যধারায় নতুন প্রাণ সঞ্চার করতে পারে।       

0 comments:

স্বাভিমান:SWABHIMAN Headline Animator

^ Back to Top-উপরে ফিরে আসুন