।।অরূপ বৈশ্য।।
বামপন্থী দুর্বলতা
বামপন্থী পরিচয়ে এখন আর কেউ গর্ববোধ করেন না। উল্টোদিক দিক থেকে বলা যায় যে সচেতন নাগরিক এখন আর বামপন্থীদের মেহনতি মানুষের বন্ধু হিসেবে ভাবেন না। এটা একধরণের নেতির নেতি (Negation of negation)। কেন এমনটা হলো? এই প্রশ্নের উত্তর বেশ জটিল এবং এর উত্তর-সন্ধান এই নিবন্ধের বিষয়বস্তুও নয়। তথাপি এনিয়ে দুটি সামান্য কথা বলে নেওয়া ভাল। পরষ্পর সম্পৃক্ত দুটি কথার একটি বিষয়গত, অন্যটি বিষয়ীগত। ১৮৯১ থকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী শ্রমিক সংগঠন ধীরে ধীরে বিকশিত হয়ে বিশাল রূপ ধারণ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা থেকে সামাজিক বিপ্লবের যুগ শুরু হয় ও লেনিনীয় সূত্রায়ন মেনে রুশ বিপ্লব সংঘটিত হয়। এই ঘটনাপ্রবাহ যে বামপন্থী আবেগের জন্ম দিয়েছিল তা আশির দশক থেকে ম্রিয়মাণ হতে শুরু করে। পুঁজির বিশ্বায়নের যে নতুন নিয়ম আশির দশক থেকে শুরু হয়েছে একে অনুধাবন করতে করতেই বামপন্থীদের বহু সময় অতিক্রান্ত হয়ে যায় এবং ফলে নতুন পরিস্থিতিতে রণকৌশল নির্মাণে ব্যার্থ হয়। অন্যদিকে ষাট-সত্তর দশকে যে আমাদের দেশে সামাজিক আন্দোলগুলো বিকশিত হয় তাকে চালু ব্যবস্থা যেমনি আত্মস্থ করে নেয়, ঠিক তেমনি বামপন্থীরাও একে রাষ্ট্র ও দলের মধ্যে আত্মস্থ করে সামাজ পরিবর্তনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হওয়ার প্রাণশক্তি কেড়ে নেয়।
এক যাত্রায় ভিন্ন ফল
22nd March, 2014, Jugasankha |
নতুন পরিস্থিতির স্বরূপ
উপনিবেশিক শাসনে ভারতীয় শিল্পোদ্যোগগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছিল। আমাদের বস্ত্রশিল্পকে শুধুমাত্র বাণিজ্যনীতির বাধা তৈরি করেই ধ্বংস করা হলো না, উৎপাদনের সাথে তাঁতশিল্পের শ্রমিকদের আঙুল কেটে ফেলারও নজির সৃষ্টি করেছিল বৃটিশ প্রশাসন। কৃষির উদ্বৃত্ত থেকে যে কৃষক-উদ্যোগপতি গড়ে উঠছিল তার বুনিয়াদটা ভেঙে দেওয়াই ভারতীয় সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য উপনিবেশিক শাসনের মূল চাবিকাঠি ছিল। স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে মিশ্র-অর্থনীতির মাধ্যমে পরিকল্পনা খাতে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করে পরিকাঠামো নির্মাণ ও শিল্পপণ্যের আমদানি কমিয়ে আনার জন্য ব্যক্তিগত খণ্ডে শিল্পায়নের উপর গুরুত্ত্ব আরোপ করা হল, কিন্তু এরজন্য আমদানি করতে হল ভারি যন্ত্রপাতি। শিল্পায়নের জন্য সহজ সর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা হলো। সরকারি ব্যয় করার জন্য আয়ের মূল উৎস হলো ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও আয়ের উপর প্রত্যক্ষ কর, ঋণের উপর সুদ ও ভোগ্যপণ্য বিক্রয়ের উপর পরোক্ষ কর। যেহেতু প্রত্যক্ষ কর ব্যাক্তিগত মুনাফার একটি অংশ এবং সেই মুনাফা তৈরি হয় শ্রমের উদ্বৃত্ত থেকে এবং পরোক্ষ কর তৈরি হয় উপভোক্তার ভোগের থেকে, সুতরাং সরকারি আয়ের মূল অংশই আসে শ্রমজীবী মানুষের থেকে। এই শ্রমজীবী মানুষই মোট জনসংখ্যার প্রায় আশি ভাগ এবং তারা গ্রামীণ কৃষি ব্যবস্থার সাথে যুক্ত। অথচ কৃষিনীতিই এই মিশ্র অর্থনীতির পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত হয়ে রইল। ভূমিহীন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের জমি মালিকানা দেওয়ার ও আয় বৃদ্ধির জন্য কোন ভূমিনীতি গ্রহণ করা হল না। রান্না করা খাবারের উপর যদি পারিবারিক অর্থনীতি নির্ভরশীল হয়, তাহলে যেমনি রান্নাঘরের আর কোন অস্তিত্ত্ব থাকে না, ঠিক তেমনি কৃষি উন্নয়নের প্রশ্নটির যদি মীমাংসা হয় কৃষির বাইরের নীতি দিয়ে, তাহলে কৃষি উন্নয়ণ বিঘ্নিত হয়। ফলে গরিষ্ঠাংশ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যায়, কমে যায় ভোগ্যসামগ্রীর উপর ব্যয় এবং তারসাথে সরকারের পরোক্ষ কর আদায়ের পরিমাণও। সম্পদশালী মানুষের উপর প্রত্যক্ষ করের মাত্রা ও ব্যাপ্তি যেহেতু বাড়ানোর বদলে কমিয়ে আনা হয়, তাই টান পড়ে সরকারি আয়ের ভাঁড়ারে। আয়-ব্যায়ের হিসাবে ভারসাম্য বজায় রাখতে সরকারকে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়িক ব্যাংক থেকে ধার নিতে হয়, কিন্তু সুদ মেটাতে ব্যয়ও তার সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি ঘটে। সুতরাং এই ভারসাম্যের যাঁতাকল থেকে বেরিয় আসতে ব্যয় সংকোচনের নীতি ও সমস্ত কিছুকে বেসরকারীকরণের নীতি নেওয়া হয়। ১৯৯১ সালে ঘোষিত গৃহীত নতুন অর্থনীতি এই পরনির্ভরশীল অর্থনীতিরই পরিণতি, যেখানে কৃষির উদ্বৃত্ত থেকে শিল্পায়ন নয়, বিকাশের জন্য নির্ভর করা হয় ধার ও বিদেশি ব্যক্তিগত পুঁজির অনুপ্রবেশের উপর। এই ব্যক্তি পুঁজিই জন্ম দিচ্ছে অবাধ দুর্নীতির, বাণিজ্য ও সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য অবাধ জমি দখলের জন্য উচ্ছেদ ও পরিবেশ ভারসাম্যহীনতার। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জমি মালিকানা দেওয়া ও সরকারি উদ্যোগে কৃষিতে জলসেচের ব্যবস্থা করার নীতি মাঝপথে বন্ধ করে দিতে হয়, সরকারি ব্যয় ও ঋণ সংকোচনের ফলে তারাই কৃষিতে লাভজনক বিনিয়োগ করতে সক্ষম হয় যাদের বৃহৎ জমি মালিকানা ও ট্রেক্টর-পাওয়ার টিলার-পাম্প সেট লাগানোর স্বচ্ছলতা আছে ও কৃষি ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা আছে। বাকী গরিষ্ঠাংশ ভূমিহীন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা হয়ে পড়ছে সস্তা দিনমজুর। গরিষ্ঠাংশ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন খাতে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে। বিনিয়োগ আসছে ফাটকা বাজারে, রপ্তানীযোগ্য পণ্য উৎপাদনের জন্য জমি মালিকানা নেওয়ার খাতে ও শহরের নাগরিকদের জন্য পরিষেবামূলক খাতে। নতুন টেকনলজির উপর নির্ভরশীল এই পরিষেবা খাতে বিনিয়োগ বিস্তৃতি ঘটাচ্ছে শহরের যেখানে জন্ম নিচ্ছে নতুন মধ্যশ্রেণির এবং যেখানে সস্তা কাজের খোঁজে চলে আসছে গ্রামীণ কৃষিজীবীরা। বছরের এক সামান্য সময় কৃষি কাজে গতর খাটিয়ে যারা দুবেলা খাওয়ার জোটায় তারাও বাকী সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে দিনমজুরের কাজের সন্ধান করতে বাধ্য হয়। যেসব পুরুষরা কাজের সন্ধানে অন্যত্র চলে যায় তাদের পরিবারের মহিলারা যৎসামান্য মজুরিতে কৃষি কাজে লিপ্ত হয়। গ্রামীণ কৃষি এরকম এক বিপর্যয়ের সম্মুখীন যেখানে কৃষকেরা প্রতিনিয়ত সস্তা শ্রমিকে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই বিপর্যয় গোটা অর্থনীতির বিপর্যয় ডেকে আনছে এবং ফলে পরিষেবামূলক শিল্পে যুক্ত নতুন মধ্যশ্রেণিও এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে। এই পরিস্থিতি জন্ম দিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক আন্দোলনের।
বরাকের আঞ্চলিক উন্নয়ণ ও সামাজিক আন্দোলন
বরাকের আঞ্চলিক উন্নয়ণের প্রশ্ন উত্থাপন হলেই, বুদ্ধিজীবী মহল থেকে একই ভাঙা রেকর্ড বাজতে থাকে। সরকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে আমাদের দেয়নি, উন্নয়ণমূলক প্রকল্প গড়ে তুলতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না করে বরাককে বঞ্চিত করা হচ্ছে ইত্যাদি। কিন্তু সরকারি উন্নয়ণ মডেলে বরাকের আসল অর্থনীতি যে ফোঁপরা হয়ে যাচ্ছে এদিকে কারুর নজর নেই। মেঘালয়ের কয়লা খনির ইদুঁর গর্তে ঢুকে যে শ্রমিকরা মারা যায়, ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে যারা সস্তায় কাজ নিতে পার্শ্ববর্তী রাজ্যে যায়, কাজের সন্ধানে অত্যন্ত অমানবীয় সর্তে যারা ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয়, যারা ইট-বালি-পাথরের কঠোর কাজে কোন সামাজিক সুরক্ষা ছাড়াই যোগ দেয়, যাদের প্রতিদিন কাজের সন্ধানে ঘুরে বেড়াতে হয় তারা একদা বরাকের কৃষির প্রন্তিক, ক্ষুদ্র ও ভূমিহীন কৃষক। এদের সামাজিক পরিচিতিও একেবারেই স্পষ্ট – যারা যত বেশি কঠোর শ্রম ও যত কম মজুরি কাঠামোর সাথে যুক্ত তারা অবধারিতভাবে সামাজিক মর্যাদার সিঁড়িতে সবচাইতে নিচের দিকের সম্প্রদায়ভুক্ত। অথচ কৃষি আয়ের উদ্বৃত্ত দিয়েই ক্ষুদ্র শিল্প ও এর সাথে যুক্ত শ্রমিক এবং অভ্যন্তরিণ পরিকাঠামোর উন্নতি সাধন করা যেত। ক্যানেল ইরিগেশনের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, কিন্তু সবগুলি আজ অচল। বেশিরভাগ কৃষি জমিই সেচের আওতার বাইরে। ভূমিবন্টন ও পাট্টা দেওয়ার বাগারম্বরই সার, প্রকৃত কৃষকদের জমির মালিকানা নেই - ভূমিহীনদের ভূমি দেওয়ার কোন বালাই নেই। এনরেগার কাজ, যার হাজিরা আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১৬৭ টাকা হচ্ছে, সেই প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে দূরবস্থা প্রকল্প রূপায়ণকারীদের সদিচ্ছাকেই প্রশ্ন চিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। শিক্ষিত মধ্যশ্রেণির এক বিভৎস চেহারা বরাকের আমজনতা তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যক্ষ করছেন, যে শ্রেণি নিজের সমাজের ও অঞ্চলের উন্নয়ণের কথাও ভুলে যায়। সেই আত্মবিস্মৃত ও আত্নসম্মানবোধহীন শ্রেণি যাদের লোভাতুর চোখ গৃহস্থের ভাঁড়ারে, আর নতজানু হয়ে করতল উপরতলার চরণতলে। এই শ্রেণিরই প্রতিবিম্ব আমরা দেখতে পাই সেই বৌদ্ধিক মহলে যারা ভাষা ও আঞ্চলিক প্রেমে গদগদ, শহিদের স্মৃতিতে চক্ষু সদা ভারাক্রান্ত, অথচ বরাকের প্রকৃত উন্নয়ণে প্রাতিষ্ঠানিক বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে ও জনমানসে আত্মসম্মানবোধ জাগ্রত করতে চূড়ান্ত অনীহা। আসলে যে মধ্যশ্রেণিটি জীবনীশক্তিহীন, আত্মসম্মানবোধ হারিয়ে ফেলেছে, দেশপ্রেমকে মানুষের জন্য প্রেম নয় ধর্মীয় ও সংকীর্ণ স্বার্থের প্রেমের গণ্ডিতে আবদ্ধ করে ফেলেছে তাদের মেকী বাগাড়ম্বর বরাকের বিভিন্নধরনের সামাজিক আন্দোলনে প্রাণশক্তি সঞ্চার করতে অপারগ। গ্রামীণ ও অসংগঠিত শ্রমিকদের সংগঠিত করে এবং এই শক্তির উপর ভিত্তি করে বরাকের আন্দোলনে নতুন দিশা ও প্রাণসঞ্চার করা সম্ভব। আর সেজন্য প্রয়োজন বাস্তবকে বোঝার এক কঠোর বৌদ্ধিক ও সাংগঠনিক চর্চা। এটাই আজকের সময়ের বামপন্থা।
সামাজিক আন্দোলনের সমস্যা ও সমাধান
বিগত বছরগুলিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিকে দিকে সামাজিক আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছে। কাজের অধিকার, শিক্ষার অধিকার, তথ্য জানার অধিকার, মানবাধিকার, ভাষার অধিকার, জাতি-বর্ণগত অধিকার, জমির অধিকার, পরিবেশ সুরক্ষা, মহিলাদের ক্ষমতায়ন, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং সর্বশেষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাত্রার ও বিভিন্ন পরিসরের আন্দোলন পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু জনমতের চাপে খানিকটা পিছু হটে সার্বিকভাবে উদার অর্থনীতি বা সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের নীতির মধ্যেই এগুলিকে আত্মস্থ করে ফেলা হচ্ছে। দুর্নীতি বিরোধী আম-আদমির উত্থানও যে বিশ্বায়নের নীতির গণ্ডি অতিক্রম করে এগোবে না তার ঘোষণা আগাম দিয়ে রেখেছে এবং এটাই অবশ্যম্ভাবী ছিল। কারণ আধুনিক শ্রমিকশ্রেনির সাথে ব্যাপক শহুরে ও গ্রামীণ অসংগঠিত শ্রমিক এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষিজীবীদের সচেতন ঐক্যই সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নকে প্রতিহত করতে পারে। এবং একাজটি করতে হয় ব্যাক্তিগত মিডিয়া প্রচারের মোহ পরিত্যাগ করেই। বিশ্বপুঁজিবাদ ভীষণ সংকটের মধ্যে পড়েছে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো বিভিন্ন স্থানিক যুদ্ধের পরাজয়ের অভিজ্ঞাতা থেকে রণকৌশলগতভাবে পিছু হটছে, সামাজিক আন্দোলনগুলো ব্যাপক ঐক্যের ভিত প্রস্তুত করে রেখেছে। কিন্তু যে বামপন্থা গণতন্ত্র ও শ্রমিকশ্রেণির ক্ষমতা এই দুয়ের মেলবন্ধন ঘটাতে পারে তারাই আজ বিপর্যস্ত ও সুবিধাবাদী অবস্থানে রয়েছে। এক নতুন বামপন্থী উত্থানই সামাজিক আন্দোলনের সমস্যার সমাধান করতে পারে। আমাদের গ্রামাঞ্চলে ‘চুঙ্গা ফুঁ’ বলে একটা কথার প্রচলন রয়েছে। যেখানেই আওয়াজ দেওয়ার জন্য মাইক সাজিয়ে রাখা আছে, সেখানে গিয়েই নিজের মুখ দেখানোর জন্য একটা ‘ফুঁ’ দিতে ব্যস্ত এখন তথাকথিত বামপন্থী ‘চুঙ্গা ফুঁ’রা। এই মুখোসের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখা তথাকথিত বামপন্থীদের কঠোর সমালোচন করেই নতুন বামপন্থা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে ও সামাজিক আন্দোলনকে সমাজ-বিপ্লবের দিশা দিতে পারে।
0 comments:
Post a Comment