শিশির দে-র ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে কতিপয় ব্যাক্তির উন্মত্ত আচরণ গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক : ১০ টি সংগঠন ও গণতন্ত্রপ্রিয় ব্যক্তিদের যৌথ বিবৃতি
Posted by Labels: peoples activism, আসাম, বরাক উপত্যকা, সমাজ
ফেসবুকে একটি পোস্টকে ঘিরে দেবদুলাল দাস ও
পঙ্কজ দাসের দ্বারা গত ১০ ডিসেম্বর করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়
আইনজীবী শিশির দের বিরুদ্ধে। গণতান্ত্রিক চিন্তাচর্চা ও প্রকাশের স্বাধীনতার কথা
মাথায় রেখে এই ঘটনায় আমরা নিম্ন-স্বাক্ষরকারীরা উদ্বিগ্ন।
আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী৷
শিশির দে শুধুমাত্র একজন আইনবিদই নন, ব্যক্তি হিসেবে তিনি অত্যন্ত সংবেদনশীল, মানবিক ও
পরমত সহিষ্ণু৷ মানবিক আবেগের বহিঃপ্রকাশে ভাষা ও ভাবের ব্যবহারের জটিলতায় কেউ
মানসিক আঘাত পেলে তাঁরা এর প্রতিবাদ করতে পারেন, কিন্তু নিজেদেরকে ধর্মের রক্ষক হিসেবে
জাহির করে আক্রমণাত্মক আচরণ করা সুস্থ মানসিকতার পরিচায়ক নয়৷ গণতান্ত্রিক
মূল্যবোধহীন, আইনের শাসনের প্রতি আস্থাহীন, ক্ষমতার
দম্ভে বলীয়ান হয়ে শিশিরের প্রতি উন্মত্ত আচরণে নেমেছেন কতিপয় ব্যক্তি৷ শিশিরের
বক্তব্যে কোনো ব্যক্তি আক্রমণ ছিল না, ছিল এক ভাবধারার প্রতি শ্লেষ৷ যুক্তি
দিয়ে কেউ এই শ্লেষকে খণ্ডন করতে পারেন৷ কিন্তু এই পোস্টের পর যেভাবে কয়েকজন
ব্যক্তি হুমকি ও বিদ্বেষমূলক প্রচারে লিপ্ত হয়েছেন এবং সর্বোপরি অসাংবিধানিক যেসব
মন্তব্য উঠে আসছে তা ভয়াবহ ও শান্তি সম্প্রীতির সুস্থ পরিবেশের জন্য বিপজ্জনকও
বটে। এদের পোস্ট থেকে আমাদের ধারণা তারা শিশিরকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করতে চাইছেন৷
এটাই সামাজিক অসহিষ্ণুতা, এটাই ক্ষমতার দম্ভ, এটাই জাতি
ও জনগণের সামনে প্রধান বিপদ৷ এই প্রবণতাকে আমরা গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ বিরোধিতা
করছি।
শিশির বাবুর এই মন্তব্য আইনের কোনো ধারা
মতে কোনো অপরাধের আওতায় আসে না। এটা সংবিধান স্বীকৃত বাকস্বাধীনতার ব্যবহার।
তারপরেও মামলা দায়ের করে আইনের অপপ্রয়োগ মুক্ত কণ্ঠ রোধের অপচেষ্টা বলে মনে করি।
গোটা বিষয়কে যাতে এক সামাজিক বিতর্কের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করা হয়, হয়রানি
করার মানসিকতা পরিহার করে প্রশাসনিক ন্যায়বিচার দেখানো হয়, তারজন্য
আমরা করিমগঞ্জের জেলা উপায়ুক্ত ও জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি৷
★বরাক হিউম্যান রাইটস প্রোটেকশন কমিটি-র পক্ষে - নেহারুল
আহমেদ মজুমদার।
★ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি-র পক্ষে - অরূপ বৈশ্য।
★ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি-র পক্ষে - দেবাশিস
ভট্টাচার্য ।
★পিপলস্ সায়েন্স সোসাইটি-র পক্ষে - হিল্লোল ভট্টাচার্য।
★ নিউ ট্রেড ইউনিয়ন ইনিশিয়েটিভ (আসাম রাজ্য কমিটি)-র পক্ষে -
দেবব্রত শর্মা।
★ অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং ২২৮৭)-র পক্ষে মানস দাস।
★ কোরাস সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা-র পক্ষে - বিশ্বজিৎ দাস।
★আসাদুল হক--মাইনোরিটি ডেমোক্রেটিক ইউথ ফেডারেশন, নগাওঁ, আসাম।
★আসাদুল হক--মাইনোরিটি ডেমোক্রেটিক ইউথ ফেডারেশন, নগাওঁ, আসাম।
★ গণতান্ত্রিক লেখক সংস্থা-র পক্ষে - সঞ্জীব দাস।
★ নারী মুক্তি সংস্থা-র পক্ষে - স্নিগ্ধা নাথ।
★ প্রতাপ সাহিত্য পত্রিকা গোষ্ঠী-র পক্ষে - শৈলেন দাস।
দৈনিক প্রান্তজ্যোতি, ১৬ ডিসে, পৃ: ১৬ |
(আরো যারা সমর্থন জানাতে থাকবেন, তাদের
নাম এখানে জুড়ে যাবে। কাগজে যদিও প্রথম ১০৭টি নামই চলে গেছে। )
0 comments:
Post a Comment