নাগরিকত্ব ও গণতন্ত্র বিষয়ে ২৮শে জুলাই গুয়াহাটিতে নাগরিক সভা সফল করবার আহ্বান
Posted by Labels: ছাত্ররাজনীতি, জাতীয়তাবাদ, সংখ্যালঘু, সমাজ
গণতান্ত্রিক পরিধিতে নাগরিকত্ব, এনআরসি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মতের বিভিন্নতা রয়েছে। বিভিন্ন
মতের মধ্যে সরাসরি ভাবের আদান প্রদান গণতান্ত্রিক বিতর্ককে শক্তিশালী করে এবং
সামাজিক সুস্থিরতা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সুস্থ গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদ
আঞ্চলিক উন্নয়নের প্রশ্নকে সামনে রেখেই এগোতে পারে। এই উন্নয়নের লক্ষ্য মেহনতি
মানুষ তথা আম-নাগরিকের সামাজিক তথা জীবনধারণের
মানোন্নয়ন। এই লক্ষ্য ত্থেকে বিচ্যুতি জাতীয়তাবাদকে বিপথে পরিচালিত করে। উন্নয়নের
যে প্রধান বাধা আর্থিক-রাজনৈতিক
কেন্দ্রীভবন তাকে যে জাতীয়তাবাদ আড়াল করে সেই জাতীয়তাবাদ গণবিরোধী। এই জাতীয়তাবাদ
ভাষিক-সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে অস্বীকার করে, বৈচিত্র্যের অভ্যন্তরে সংঘাতকে মূল বিষয় করে নেয়। এই সংঘাত
মেহনতি মানুষের ঐক্যকে বিঘ্নিত করে, সাধারণ মানুষের
মানবিক-নাগরিক অধিকারকে অস্বীকার করে।
বহুভাষিক চরিত্রকে স্বীকার করেই
ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠিত হয়। এই ভাষাচেতনার উন্মেষ ঘটে স্বাধীনতা সংগ্রামের গর্ভে।
এই ফেডারেল স্পিরিটকে শুধু রক্ষা করাই নয়, একে বিকশিত করা
জরুরি। নয়া-আর্থিক নীতি তথা কর্পোরেট শোষণ ও
বঞ্চনাকে বিরোধিতা না করে এই গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদের প্রকল্পের বিকাশ সম্ভব নয়।
এই বিরোধিতার প্রধান শক্তি ব্যাপক অথচ বহুধাবিভক্ত শ্রমজীবী মানুষ। আমাদেরকে এই
শ্রমজীবী মানুষের ঐক্যের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জাতীয়তাবাদের প্রশ্নকে দেখতে হবে, নাগরিকত্ব সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন
বহুবিধ মত ও পথের মধ্যে মত বিনিময় ও একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান ছেড়ে
এক গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলা।
এই লক্ষ্যে আমরা নিম্নলিখিত সংগঠনের
উদ্যোগে আগামী ২৮ জুলাই বেলা ১১
টায় গুয়াহাটি লতাশীলের বিষ্ণুনির্মলা ভবনে এক আলোচনাসভা তথা মত-বিনিময়ের আয়োজন করা হয়েছে। আপনাদের সবার উপস্থিতি কাম্য।
ইতি
বিনীত
ফোরাম ফর স্যোসিয়েল হারমনি,দেশপ্রেম
এবং বসুন্ধরা—দ্য ন্যু ডেজ
সাম্প্রতিক
অসমত নাগৰিকত্ব, এন,আৰ,চি আদি বিষয়বোৰক লৈ মতামতৰ ভিন্নতা
দেখা গৈছে।
বিভিন্ন মতৰ
মাজত প্রত্যক্ষ ভাৱৰ আদান প্রদানে
গণতান্ত্রিক বিতর্কক এক সুস্থ মাত্রা প্রদান কৰে আৰু সামাজিক সুস্থিৰতা ৰক্ষাত গুৰুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন কৰে। সুস্থ গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদ কেৱলমাত্র আঞ্চলিক উন্নয়নৰ প্রশ্নক
আগত ৰাখিয়েই আগুৱাব পাৰে। এনে উন্নয়নৰ
লক্ষ্য শ্রমজীৱী মানুহ তথা সাধাৰণ-নাগৰিকৰ সামাজিক জীবনধাৰণৰ মানোন্নয়ন। এই
লক্ষ্যৰ পৰা বিচ্যুতিয়ে জাতীয়তাবাদকো
বিপথে পৰিচালিত কৰে। উন্নয়নৰ যি প্রধান
বাধা ‘আর্থিক-ৰাজনৈতিক কেন্দ্রীভৱন’ তাক যি
জাতীয়তাবাদে আওকাণ কৰে সেই জাতীয়তাবাদ অগণতান্ত্রিক। এই জাতীয়তাবাদ ভাষিক-সাংস্কৃতিক
বৈচিত্র্যক অস্বীকাৰ কৰে, বৈচিত্র্যৰ ভিতৰৰ সংঘাতকে ই মূল বিষয় কৰি লয়। এই সংঘাতে শ্রমজীৱী
মানুহৰ ঐক্যক বিঘ্নিত কৰে, আৰু সাধাৰণ মানুহৰ মানবিক-নাগৰিক অধিকাৰক অস্বীকাৰ কৰে।
বহুভাষিক চরিত্রক স্বীকাৰ কৰিয়েই
ভাষাভিত্তিক ৰাজ্য গঠিত হয়। এই ভাষাচেতনাৰ উন্মেষ
স্বাধীনতা সংগ্রামৰ গর্ভতে ঘটে। এই ফেদাৰেল স্পিৰিটক ৰক্ষা কৰাই কেৱল নহয়, ইয়াক বিকশিত কৰাও সমানে
জৰুৰী।
নয়া-আর্থিক নীতি
তথা কর্পোৰেট শোষণ আৰু বঞ্চনাক বিৰোধিতা নকৰাকৈ এনে গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদী
প্রকল্পৰ বিকাশ সম্ভৱ নহয়। এই বিৰোধিতাৰ প্রধান শক্তি ব্যাপক তথা বহু ধাৰাত বিভক্ত
শ্রমজীৱী ৰাইজ। এই শ্রমজীৱী ৰাইজৰ ঐক্যৰ
দৃষ্টিভঙ্গীৰ পৰা জাতীয়তাবাদৰ প্রশ্নক চাব লাগিব, নাগৰিকত্ব সমস্যাৰ সমাধান
বিচাৰিব লাগিব। তাৰ বাবে দৰকাৰ বহুবিধ মত আৰু পথৰ মাজত মত বিনিময় আৰু এক পক্ষই আন পক্ষৰ বিৰুদ্ধে
আক্রমণাত্মক অৱস্থান এৰি এক গণতান্ত্রিক পৰিৱেশ গঢ়ি তোলা।
এই লক্ষ্য আগত ৰাখি নিম্নলিখিত সংগঠনৰ উদ্যোগত অহা ২৮ জুলাই, ২০১৮, শনিবাৰে দিনৰ ১১ বজাত বিষ্ণু নির্মলা ভৱনত এক আলোচনাসভা তথা
মত-বিনিময়ৰ অনুষ্ঠানৰ আয়োজন কৰা হৈছে। আপনালোকৰ সকলোৰে তাতে উপস্থিতি কামনা
কৰিছো।
ইতি
ফোৰাম
ফৰ চোচিয়েল হাৰমনি, দেশপ্রেম
আৰু
বসুন্ধৰা—ফৰ
ন্যু দেজ
0 comments:
Post a Comment