ইনকিলাব
জিন্দাবাদ শ্রমিক ঐক্য জিন্দাবাদ অসম
মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন জিন্দাবাদ
মে দিবস শ্রমিকশ্রেণির ঐক্য
গড়ার শপথ নেওয়ার দিন।
আপসহীন লড়াইয়ের ময়দানে মেহনতি
মানুষের অধিকার কেড়ে নিন।।
কমরেড/সাথী
আমরা শ্রমিক শ্রেণি, মেহনতি
মানুষ কীভাবে আছি, কী অবস্থায় আছি?
যে মালিকরা চা-পাতা বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করে, সেই
চা-পাতা বানাই আমরা। বড় বড় দালান কোঠায় যে সব ধনীরা বাস করেন
সেই দালান ও ইট-বালি-পাথর-সিমেন্ট সব আমাদের মেহনতেই আসে, মন্দির
– মসজিদও গড়ে উঠে আমাদের রক্ত জল করা শ্রমে। স্কুল-কলেজের মালিক, নার্সিং
হোমের মালিকরা মুনাফা করে, কিন্তু তাতে শিক্ষাকর্মী আমরা -নার্স
আমরা – সেবিকা ও স্বাস্থ্য কর্মী আমরা। রাস্তাঘাট বানাই আমরা -সাফাই কর্মী আমরা, কিন্তু
হুকুম জারি করেন উপরতলার কর্তারা। গ্রামে ঔষধ পৌঁছে দেই আমরা আশা কর্মীরা, শিশুদের
খাওয়ার রান্না করি আমরা অঙ্গনওয়াড়ি বা মিড-ডে-মিল কর্মীরা, সরকারি
অর্থ লুটেপুটে খায় ঔষধ কোম্পানির মালিক ও মন্ত্রী-আমলারা।
খাওয়ার তৈরি করি আমরা, আর খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ব্যবসা ও মুনাফা করে অন্য মালিকরা।
শপিং মল ও বড় বড় বাজার ও দোকানে সেই খাদ্য বিক্রির কর্মচারী আমরা। দেশের সমস্ত
সম্পদ তৈরি করে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ, অথচ
আমাদের ভাগ্যে জোটে না ন্যূনতম মজুরি।
কমরেড, আমরাও
চাই ভালভাবে থাকতে, আমাদেরও চাই ভাল ঘর, ভাল
খাওয়ার বন্দোবস্ত, ভাল স্বাস্থ্য, আমাদের
সন্তানদের জন্য ভাল শিক্ষার সুযোগ। কিন্তু এসব আমাদের ভাগ্যে কীভাবে জুটবে – আমাদের
যে জোটে না ন্যূনতম মজুরিও। সুস্থ-সুন্দর
জীবনের জন্য আমাদের লড়তে হবে মজুরি বৃদ্ধির জন্য। আমাদের লড়তে হবে স্থায়ী কাজ ও
সকল ধরনের সামাজিক সুযোগ সুবিধার জন্য। শ্রমিকদের এই লড়াই মালিকরা খারাপ চোখে দেখে, খারাপ
চোখে দেখে বড় বড় পুঁজিপতি মালিকদের স্বার্থ দেখা সরকারও। তাই সরকার ধর্মঘটকে বে-আইনি ঘোষণা করে দিতে সচেষ্ট, সচেষ্ট
শ্রমিকের ইউনিয়ন করার অধিকার কেড়ে নিতে। তাই তো মারুতি-সুজুকি
কোম্পানির দিল্লি গুড়গাঁও-মানেসার
ফ্যাক্টরির সংগ্রামী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মালিক-সরকার
মিলে চক্রান্ত করে, হরিয়ানার নিম্ন আদালত বিদেশি পুঁজির স্বার্থে শ্রমিকদের
শাস্তি ঘোষণা করে।
কিন্তু শ্রমিক শোষণকারী মালিক, পুঁজির
সেবাদাস রাজনৈতিক দল ও সরকার শ্রমিকশ্রেণি তথা মেহনতি মানুষের ঐক্যে ভয় পায়।
কীভাবে মেহনতি মানুষকে ভাগ করা যায় তার জন্য এরা সবসময় ফন্দি ফিকির করে। ধর্ম-জাতি-ভাষার
নামে ঘৃণা ছড়াতে এদের দালালরা সমাজের সর্বত্র ঘোরাফেরা করে, মানুষকে
বিপথে চালিত করতে ঐক্য নষ্ট করতে সবক্ষেত্রে থাকে সচেষ্ট। আমাদের এসবের মোকাবিলা
করে শ্রমিকশ্রেণি তথা মেহনতি মানুষের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
আমাদের গড়তে সব জনগোষ্ঠীর সমান
অধিকার সমান মর্যাদা, লড়তে হবে স্বাধীনতা ও মুক্তির লক্ষ্যে
গড়তে হবে শ্রমিকশ্রেণি তথা
মেহনতি মানুষের ঐক্য, লড়তে হবে আমাদের অধিকার আদায়ে
আমাদের চাই ন্যূনতম দৈনিক ৪৫০
টাকা মজুরি, চাই স্থায়ী কাজ ও সবধরনের সামাজিক সুযোগ সুবিধা।
আসুন, মেহনতি
মানুষের অধিকার আদায়ে মহান মে দিবসে গোটা ভারত তথা বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির সাথে
আমরাও দলেবলে সামিল হই লালা গান্ধিভবনে নীচের কর্মসূচীতে –
দিগন্ত শর্মা |
স্থান -লালা
গান্ধিভবন
সকাল ৮ টায় - পতাকা উত্তোলন। বেলা ১২ টায় –
মিছিল। দুপুর ২ টা থেকে – কোরাস, শিলচর পরিবেশিত গান-নাটক
ও আলোচনা সভা।
সন্ধ্যা ৫:৩০ থেকে - ফোরাম
ফর সোশ্যাল হারমনি’র তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা।
অন্যান্যদের
সাথে বক্তব্য রাখবেন গুয়াহাটির বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক
দিগন্ত শর্মা
------------------ ----------------
অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন তথা
এনটিইউআই’র পক্ষে মানস দাস কর্তৃক প্রচারিত।
0 comments:
Post a Comment