“ এরাই আন্দোলন করব – আমরার দ্বারা অইত নায়, আমরা বরঞ্চ বাগড়া দিমু”

Posted by স্বাভিমান Labels: , , , ,






।। অরূপা মহাজন ।।
(অরুণোদয়ের জন্য)

            রাই আন্দোলন করব, আমরার দ্বারা অইত নায় এঅঞ্চলের একজন হিন্দু বুদ্ধিজীবীর এক পাসিং-রিমার্ক। কথার কথা শোনালেও মন্তব্যটির মধ্যে সারবত্তা রয়েছে। বাক্যবন্ধের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে হলে প্রেক্ষিত বিচার করেই এগোতে হবে। সম্প্রতি ইউডিএফ দলের বরাক উপত্যকা থেকে নির্বাচিত বিধায়ক, যিনি আবার এক ইসলামি ধর্মীয় সংগঠনের কর্মকর্তা, আসামের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে এবং বরাকের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। বিরোধী শিবিরের বিধায়ক হিসেবে বিভিন্ন গণসংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সংগ্রামী মঞ্চ গঠন করে ইতিমধ্যে অনশন কর্মসূচীতে নেমে পড়েছেন এবং লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করে অন্যান্য বিধায়কদের পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। বলাই বাহুল্য, অন্যান্য বিধায়কদের থেকে তাঁর আন্দোলনের প্রতি তেমন কোন ইতিবাচক সাড়া মেলেনি, বরঞ্চ কোন কোন প্রতিনিধি এমনও বলেছেন যে আন্দোলন করে কোন কাজ হয় না। নিন্দুকেরা কানাঘুষো করছে যে তিনি তাঁর ইউডিএফ পরিচিতি থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে বরাকের নেতা হওয়ার যে চেষ্টা চালাচ্ছেন তাতে কংগ্রেসের দিকে পা-বাড়ানোর ইঙ্গিত নেই তো? এই নিন্দুকদের কথা যত কম চর্চা হয় ততই ভালো, কারণ এরা গণপ্রক্রিয়াকে কখনোই গুরুত্ব দেবে না। কংগ্রেস-সরকার বিরোধী আন্দোলনে যে মানুষের মধ্যে কংগ্রেস বিরোধিতা তীব্র হবে সেটা তারা বুঝতে চান না। এই আন্দোলন নিয়ে জোর চর্চার মধ্যেই বরাকের এক প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবীর এই মন্তব্য। এই মন্তব্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে বরাকের আসল স্বরূপ এবং কঠোর বাস্তব।
           বিধায়কের নেতৃত্বে এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে করা এই মন্তব্যে এরাই মানে যে মুসলমানরাই এবং আমরা মানে যে শহুরে হিন্দু মধ্যবিত্ত তা এখানে একেবারেই প্রচ্ছন্ন। বরাকের শহুরে হিন্দু মধ্যবিত্ত নেতৃত্ব অনেকবারই বরাকের প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তা কখনোই   গ্রাম-বরাকের মানুষকে আন্দোলিত করা তো দূরে থাক, কোন বার্তা তাদের কানে গিয়েই পৌঁছোয়নি।    বার্তা প্রবাহের জন্য যেমনি মিডিয়া প্রয়োজন, ঠিক তেমনি আন্দোলনের আহ্বান আম-জনতার কানে পৌঁছার জন্য মাধ্যমের দরকার। এক্ষেত্রে এই মাধ্যমটি কাঠামো উপরিকাঠামো ও কার্যক্রমের (Structural – super structural and functional) মিলিত এক উপাদান। শিলচরের শিক্ষিত হিন্দু মধ্যবিত্ত শ্রেণিটির গ্রামের সাথে কোন আত্মীয়তার বাঁধন নেই, যে কিছু সংখ্যকের গ্রামে বাড়ি ছিল তারাও পাততাড়ি গুটিয়ে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে শহর বাসিন্দা, অনেকেই ছেলে-মেয়েদের বাইরে পাঠিয়ে কলকাতার মফঃস্বলে ফ্ল্যাট-বাড়ি কিনে পরবাসী হওয়ার মনোবাসনা বাস্তবায়িত করতে ব্যস্ত। ব্লকের বিডিও শহর শিলচরের বাঙালি বর্ণহিন্দু চৌধুরী, না ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার অসমীয়া চৌধুরী তাতে গ্রামের মানুষের কোন ইতরবিশেষ ফারাক অনুভূত হয়না। বার্তা বহন করার সামাজিক সম্পর্কের কাঠামোটি মোটামুটিভাবে অনুপস্থিত। উপরিকাঠামো হিসেবে মুসলিম বিদ্বেষি হিন্দু মানসিকতাই একমাত্র মতাদর্শ যা দিয়ে গ্রামীণ হিন্দু মানুষের সাথে যোগসূত্র স্থাপন করা তাদের কাছে সম্ভব হয়, এমন কোন সেকুলার মতাদর্শ নেই যা দিয়ে এই কাজটি সমাধা করা যায়। এমন কোন কার্যকরী সংস্থা নেই যার শহুরে শিক্ষিত নেতৃস্থানীয় সদস্যরা গ্রামে গিয়ে মানুষকে আন্দোলনের বার্তা ও ঐক্যের আদর্শের কথা বোঝাবে এবং গ্রামের সাথে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য নতূন মানুষ তৈরি করবে। উল্টোদিকে, শহরের মুসলমান মধ্যবিত্ত সমাজ গ্রাম থেকে উঠে আসা এবং গ্রামের সাথে তাদের নিবিড় জীবন্ত সম্পর্ক রয়েছে। তাদেরকে পরধর্মের প্রতি বিদ্বেষ প্রচার করে নিজেদের ধর্মীয় ঐক্য বজায় রাখতে হয় না এবং সে অর্থে এই ইসলাম নিজেই এক সেকুলার ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। কোন এক বিশেষ মুহূর্ত কিংবা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাৎক্ষনিকভাবে সৃষ্ট বিদ্বেষের মনোভাব বাদ দিলে, ধর্মীয় বিদ্বেষের মনোভাব প্রতিনিয়ত সামাজিক চর্চার বিষয় হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকে না, উপরুল্লিখিত আমরার মধ্যে যা বিদ্যমান এক চর্চার বিষয়। তারা যখন রাষ্ট্রযন্ত্রের কোন অংশকে শোষণ-বঞ্চনার হাতিয়ার হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে, তখন তারা তাদের প্রতিবেশিদের দিকে ঐক্যের হাত বাড়িয়ে দিতে উদগ্রীব হয়ে থাকে। কিন্তু এই আমরার সাম্প্রদায়িক দিব্যদৃষ্টি তাদের হাতের রেখাচিত্রে বাংলাদেশের মানচিত্র দেখে, তকির নিচে লুকিয়ে থাকা ছুরি কল্পনা করে যেন ঐ হাত তকির দিকে যাবে এবং আমরার বুকের দিকে ঘুরে আসবে। একথা হলফ করে বলা যায়, সাধারণভাবে গ্রামাঞ্চলের মুসলিম সমাজের আচার-ব্যবহার (অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্তরা সামাজিক মদতে নয়, রাজনৈতিক মদতেই পরিপুষ্ট) ঐক্য গড়ে তোলার সহায়ক, বরঞ্চ হিন্দু সমাজের মনোজগত ও সামাজিক জগত এই ঐক্যের পরিপন্থী। সুতরাং, উপরুল্লিখিত মন্তব্যটিকে আরেকটু প্রসারিত করে বলা যায়, ''এরাই আন্দোলন করব আমরার দ্বারা অইত নায়, আমরা বরঞ্চ বাগড়া দিমু।        তবে এই মন্তব্যের অন্তর্নিহিত সাধারণ বাস্তব আমরা ওরার বিভাজন দূর করে আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্র তৈরি করে না। কিন্তু ইতিমধ্যে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে, যেখানে দাঁড়িয়ে আমরা-ওরা মিলে আমরা সবাই এক ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের সূচনা করতে পারে।
          বরাক ঊপত্যকার গ্রামীণ শ্রমিক, কঠোর পরিশ্রমী কৃষক সমাজের গরিষ্ঠাংশই মুসলিম সমাজভূক্ত। জনসংখ্যা ও দৈহিক শ্রমের মাত্রার দিক থেকে এরাই চোখে পড়ার মত। চা-শ্রমিক ছাড়া শহরের দিন-হাজিরার দৈহিক শ্রম ও বিভিন্ন নির্মাণ শ্রমিকদের মধ্যে ঝাড়খণ্ডী-আদিবাসী ও কৈবর্তদের বিশেষ উপস্থিতি রয়েছে, কিন্তু দক্ষ-শ্রমিকের গরিষ্ঠাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। গ্রামীন আধিপত্যকারী শ্রেণির আধিপত্যের ভিত্তি হচ্ছে জমির মালিক ও মহাজন, তারাই আবার সরকারি অনুদানের মধ্যসত্ত্বভোগী ও মাঝারি নিয়ন্ত্রক এবং অন্যদিকে দিসপুরের তাবেদার রাজনৈতিক শ্রেণির তল্পিবাহক। এই দুয়ের মাঝখানে ছোট চাকুরে, ছোট দোকানদার ও ছোট জমির মালিক কৃষক পরিবার। গত বিশ-ত্রিশ বছর আগেও এই ছিল সাদামাটাভাবে বরাকের গ্রামাঞ্চলের বাস্তব চিত্র।
          বিগত বছরগুলিতে এই বাস্তব চিত্রের মাত্রাগত ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে সামাজিক সম্পর্কের উপরও খানিকটা প্রভাব বিস্তার করেছে। বরাকের কৃষিতে গরু-লাঙ্গলের ব্যবহার একেবারেই কমে গেছে, তার জায়গা নিয়েছে পাওয়ার-টিলার ও ট্র্যাক্টর। ধানবীজের বৈচিত্রময় ফসলের জায়গা নিয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রিত গুটিকয় ধানবীজ ও তার পরিপূরক সার, কম্যুনিটি ফিসারিজের জায়গা নিচ্ছে ব্যক্তিমালিকানাধীন ফিসারিজ। এশিয়ান ডেভেলাপমেন্ট ব্যাঙ্ক ও বিশ্ব ব্যাঙ্কের থেকে ধারের অর্থে গড়ে উঠছে বিভিন্ন ধরণের ইমারত, পাওয়ার লাইন, টাওয়ার লাইন ও মহাসড়ক। এইসব কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে পুরোনো মধ্যসত্ত্বভোগীদের সাথে নতূন আরেকদল ঠিকাদার-সাপ্লায়ার গোষ্ঠী জন্ম নিয়েছে। পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে উঠে এসেছে আরেকদল প্রতিপত্তিশালী গোষ্ঠী যারা এনরেগা সহ পঞ্চায়েত বিলি-বন্টনের ক্ষেত্রে ফড়ে-দালালের ভূমিকায় লিপ্ত। বহু পঞ্চায়েত প্রতিনিধি নব্য ধনিরা এখন ট্র্যাক্টর-পাওয়ার টিলার, গাড়ি-বাড়ির অলিখিত মালিক। পুরোনো ও নতূন মিলে এই গোষ্ঠীটি সম্প্রদায়গতভাবে মিশ্র চরিত্রের এবং বড়-মাঝারি ও ক্ষুদ্র মাপের স্তরতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত এই গোষ্ঠীটি একে অপরের উপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতার ক্ষেত্রে দুর্নীতি এক মুখ্য ভূমিকায় রয়েছে এবং এভাবে এরা দিল্লি-দিশপুর থেকে বরাকের দালাল রাজনৈতিক নেতৃত্ব হয়ে এক শৃঙ্খলের মধ্যে আবদ্ধ রয়েছে। তাদের নিজেদের মধ্যে স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখা দিলেও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার প্রধান গ্যারান্টি। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার দূরবস্থার জন্য আমরা যখন ট্রান্সপোর্ট লবিকে দায়ী করি, তখন আমাদের একথাও স্মরণে রাখতে হয় যে বরাকের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কত সংখ্যক গাড়ি এই ট্রান্সপোর্ট লবির অধীনে প্রতিদিন শিলচরগুয়াহাটির দূর্গম পথ পাড়ি দেয়। বরাকের প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীর আত্মশক্তি স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হলেও, সামাজিক সংঘাত প্রশমিত করে রাখার ক্ষেত্রে তাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কারণ সামাজিক সংঘাত বেশিদূর এগোলে বিভিন্ন সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা এই গোষ্ঠীটি তাদের আপাত-শান্তিপূর্ণ স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা দেখে।
          অন্যদিকে এক ব্যাপক অংশের মানুষ পরিবার প্রতিপালনের জন্য অসংগঠিত শ্রমিক হিসেবে জড়িয়ে পড়ছে এই কর্মকাণ্ডে কায়িক শ্রমের যোগান দিতে। আগে যেসব ব্যাপক অংশের গরিব ও মাঝারি কৃষক কৃষিকাজ করেই সংসারের ব্যয় সংকুলান করতে সক্ষম ছিল, তারাই এখন এই ব্যাপক অসংগঠিত শ্রমিক। এই অসংগঠিত শ্রমিক দলে মুসলিম ও চা-জনগোষ্ঠীর লোকদের প্রাধান্য থাকলেও, আর্থিক সংকট সব সম্প্রদায়ের মানুষকেই এই দলে টেনে এনেছে। উপরের স্তরের চাকুরিজীবী যারা মোটা অংকের মাইনে পান শতাংশের হিসেবে তাদের শক্তি একেবারেই নগণ্য এবং নিজেরা দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকুক বা নাই থাকুক দুর্নীতির জন্য এই ব্যবস্থার তারা সমালোচক কিন্তু এর দাওয়াই হিসেবে এখনও এরা আর্থিক উদারনীতিরই পক্ষে। তবে মধ্য ও নিম্ন স্তরের স্বল্প মাইনের সরকারিবেসরকারি চাকুরিজীবীরা উদারবাদী অর্থনীতির ব্যাপক কুপ্রভাবের কঠোর বাস্তবে অতীষ্ঠ। খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি ব্যাপক ক্ষুদে দোকানদারদেরও শঙ্কিত করে তুলছে। এছাড়া রয়েছে চা-শ্রমিক ও বিভিন্ন ক্ষুদ্র-মাঝারি ও ভারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। চা-শ্রমিক ছাড়া অন্যান্য শিল্প-শ্রমিকরা সংখ্যায় কম হলেও, এদেরও সম্প্রদায়গত গঠন মিশ্র চরিত্রের। এই ব্যাপক সংগঠিত-অসংগঠিত শ্রমিক ও নিম্নস্তরের মাস-মাইনের চাকুরিজীবীদের মধ্যে পূর্বের দেশজোড়া       দলিত-অবিসি জাগরণের এবং বর্তমানের দেশ ও বিশ্বজোড়া শ্রমিক-কৃষক আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সুতরাং, এরাই বরাকের প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রধান ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে বঞ্চনার বিরুদ্ধে যারা কথা বলেন তাদের মস্তিষ্কে এই বাস্তবতা কোন প্রভাব ফেলে না।
         বরাকের ইউডিএফ বিধায়কের অনশন কার্যসূচীতে এখন পর্যন্ত মানুষের ব্যাপক গণ-সমর্থন পরিলক্ষিত হয়নি। অনেকের মতে বিধায়ক হওয়ার আগে তাঁর যে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ছিল এবং দুর্নীতি বিরোধী ভাবমূর্তি ছিল, বিধায়ক হওয়ার পর তা তিনি বজায় রাখতে পারেননি এবং এরজন্যই তেমন জনসমর্থন মিলছে না। এই মতের যথার্থতা থাকলেও, যাদেরকে ভিত্তি করে এই আন্দোলন শক্তি সঞ্চয় করবে, বিধায়ক হিসেবে তাদের কোন বিষয় নিয়ে তিনি কোন কথা না বলাই জনমনকে আকর্ষিত করতে ব্যর্থ হওয়ার পেছনের মূল কারণ বলেই মনে হয়।   

A CLARION CALL TO UNITE AGAINST IMPERIALISM AND.....

Posted by স্বাভিমান Labels: , , , , , , , , , ,



A CLARION CALL TO THE PEOPLE TO UNITE AGAINST IMPERIALISM AND NEO-LIBERAL POLICY FROM A THOUSANDS STRONG MASS MEETING AND PROCESSION OF ASSAM MOJURI SRAMEEK UNION


The News Published in Dainik Samayik Prasanga, 15th Nov. 2011 issue 
            This prgramme organised by Assam Mojuri Srameek Union has also been addressed by the office bearers of Barak Human Rights Protection Committe, Krishak Mukti Sangram Samiti, Citizens' Rights Protection Committee, Manipur Peoples' Struggle Committee along with Union's speakers and Mr Gautam Modi, Secretary, New Trade Union Initiative, New Delhi as guest speaker.
Press Releaese

A strong procession of thousands of union  
members entering the meeting venue
The neo-liberal policy and the policy of appeasement serving the corporate interest of the Indian big business houses and the global oligopolists, pursued by the Indian Govt. is increasing the inequality, poverty, unemployment and the prices of the essential commodities in leaps and bounds. In the list prepared on the basis of human development index, India’s place is 119 out of 129 countries. As per the Govt record of 2010, the rate of life expectancy of birth (years) is 64.4%, the rate of malnutrition in the age group of 6-59 months is 79%, below 3 years is 46% and that of below 6 years is 49%. As per Arjun Sengupta report, 77% of people has the average daily expenditure of Rs.20 or less. During the period of 1994-2008, the rate of employment per annum in the Govt organized sector is (-)0.65%  and that of private sector is 1.75%. The workers in the private IT-BPO and other private sectors, and the working class in the unorganized sector who constitute the absolute majority of the India workforce are being compelled to work with measly sum of wage. Almost 2.5 lakhs of farmers committed suicide till date due to agricultural crisis.
      The budgetary allocation of fund for social sector development is very meager. As per Reserve Bank report 2010, the expenditure in education is 2.98% of GDP, that of health is 1.27% and in other social investment is only 2.38% of GDP. With an intention to reduce the social sector investment still further, the Government is conspiring to show less BPL percentage, and pursuing the policy to allow the private capitalists to enter these social sector for making profit through commercialization.
A Sectional view of the mass-meeting
A Sectional view of the mass-meeting
   This policy of the Govt. has shattered the lives of the working class in general and especially the most backward communities and the regions like Barak Valley. All the beneficiary schemes and the scheme under the right to work act like NREGA are not being properly implemented due to the carelessness and insensitivity of the people in the Govt. implementing machineries. The jobcard holders are not getting 100 days work per year, and the state Govt is dillydallying in giving the unemployment allowance against their failure in providing jobs to the job-seekers, though the honourable high court has also passed an order to pay the unemployment allowance against a writ-petition filed by the Union. The tea-workers are not getting the minimum wage and the facilities they are entitled to get as per plantation labour act, even the tea-workers in Barak are getting less than their counterpart in Brahmaputra valley of the state of Assam.     
     In vehement opposition to the neo-liberal policy and on the basis of the demands mentioned below, and by being the part of the all India working class movement initiated by New Trade Union Initiative, the Union is determined to strengthen this movement further.
        Demands are – (1) All the arrear unemployment allowance under NREGA must be paid immediately. (2) 200 days of work per year should be provided to the jobcard-holders.   (3) On the basis of the guideline of Indian Labour Conference, 1957 and the directives of Supreme Court, the minimum wage of the tea-workers and the workers of all unorganized sectors must be fixed. (4) The wages of the tea-workers of Barak Valley should be at per with that of Brahmaputra Valley. (5) The universal PDS should be brought back in force. (6) The PRI and the Gramsabha should be strengthened for empowerment of the people. (7) The power should be decentralized through multi-layered autonomy to ensure equal rights of all communities. (8) The rampant corruption at all levels and the skyrocketing price hike of essential commodities must be arrested, and the Lokpal act must brought into force.

ASOM MOJURI SRAMEEK UNION
CACHAR DISTRICT COMMITTEE
H/O KHUDIRAM SARANI, SIBBARI ROAD, TARAPUR, SILCHAR-8, Regd. No 2287
_____________________________________________________________________________________________
    Ref:  Nil                                                                                  Date : 14.11.2011

      সরকার অনুসৃত নয়া আর্থিক নীতি ও দেশি-বিদেশি ব্যক্তিপুঁজি মালিকদের স্বার্থ রক্ষাকারী পদক্ষেপের ফলে সামাজিক অসাম্য, দরিদ্রতা, বেকারত্ব, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যের বৃদ্ধি ঘটে চলেছে। মানবোন্নয়নের সূচক অনুযায়ী ১২৯টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১১৯ নং। ২০১০-এর সরকারি হিসেব অনুযায়ী, জন্মবছরে বেঁচে থাকার হার ৬৪.৪%,     ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের শিশুর অপুষ্টির হার ৭৯%, ৩ বছরের নিচে শিশুর ৪৬% ও ৬ বছরের নিচে ৪৯% অপুষ্টিতে ভুগছে। অর্জুন সেনগুপ্ত কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ৭৭% লোকের দৈনিক গড় ব্যয় ২০ টাকা বা তার কম। ১৯৯৪-২০০৮-এই পিরিয়ডে সরকারি সংগঠিতখণ্ডে গড় বছরে নিয়োগের হার (-)০.৬৫% ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ১.৭৫%। আইটি-বিপিও ও অন্যান্য বেসরকারি ক্ষেত্রগুলোতে এবং গরিষ্ঠাংশ শ্রমজীবী মানুষ অসংগঠিত ক্ষেত্রে অত্যন্ত নগণ্য মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। কৃষিক্ষেত্রে বিপর্যয়ের জন্য ইতিমধ্যে মোট প্রায় ২.৫ লাখ কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। 
Union's flag-hoisting (above)
 and procession (below)

সরকারী বাজেটে সামাজিক খাতে ব্যয় বরাদ্দ নিতান্তই অপ্রতুল। রিজার্ভ ব্যঙ্কের ২০১০-এর হিসেব অনুযায়ী শিক্ষখাতে জিডিপির ২.৯৮%, স্বাস্থ্যখাতে ১.২৭% ও অন্যান্য খাতে জিডিপির মাত্র ২.৩৮% ব্যয় করা হয়। সামাজিক খাতে ব্যয় আরও কমিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিপিএলের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর চক্রান্ত করছে সরকার এবং সামাজিক ক্ষেত্রগুলিতে মুনাফালোভি ব্যক্তিমালিকদের অনুপ্রবেশের পথ সুগম করার নীতি অনুসরণ করছে সরকার।

     সরকারের এই নীতিতে সাধারণভাবে শ্রমজীবী মানুষ এবং বিশেষ করে বরাক উপত্যকার মত পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জীবনে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গণ-আন্দোলনের চাপে কাজের অধিকার সাব্যস্ত করতে এনরেগা সহ অন্যান্য যেসব জনহিতকর প্রকল্প সরকার নিয়েছে তাও দুর্নীতি ও প্রশাসনযন্ত্রের অসংবেদনশীলতা ও গাফিলতিতে সুস্টুভাবে কার্যকরী হচ্ছে না। এনরেগার বছরে ১০০ দিনের কাজ দেওয়া হচ্ছে না এবং কাজ দিতে না পারলে যে বেকার ভাতা দেওয়ার কথা, তা দিতেও রাজ্য সরকার টালবাহানা করছে। এব্যাপারে ইউনিয়নের এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট অতিসত্বর বেকার ভাতা প্রদান করার আদেশও জারি করেছে। চা-শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সহ প্ল্যাল্টেশন লেবার আইন অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধাগুলি দেওয়া হয় না, এমনকি বরাক উপত্যকার চা-শ্রমিকদের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার শ্রমিকদের চেয়েও নেক কম হাজিরা দেওয়া হয়।

            ইউনিয়ন সরকারের ব্যক্তিগতকরণের নীতির বিরুদ্ধে এবং নিম্নলিখিত দাবিগুলির ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে এবং নিউ ট্রেড ইউনিয়ন ইনিসিয়েটিভের উদ্যোগে সর্বভারতীয় আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর।
          (১)এনরেগার বকেয়া বেকার ভাতা প্রদান করতে হবে। (২) এনরেগার অধীনে বছরে ২০০দিনের কাজ দিতে হবে। (৩) ইণ্ডিয়ান লেবার কনফারেন্স ১৯৫৭ ও সুপ্রিম কোর্টের আদেশের গাইডলাইন মেনে চা-শ্রনিক ও অসংগঠিত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ধার্য করতে হবে। (৪) বরাক ও ব্রহ্মপুত্র ভ্যালির চা-শ্রমিকদের সমহারে মজুরি প্রদান করতে হবে। (৫) সর্বজনীন রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। (৬) পঞ্চায়েত ও গ্রামসভাকে শক্তিশালী করতে হবে। (৭) বহুস্তরীয় স্বশাসনের ভিত্তিতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সব জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। (৮) সর্বস্তবরে দুর্নীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি রোধ এবং লোকপাল আইন চালু করতে হবে।              




An appeal from Students’ Democratic Forum and SC-ST Students’ Development Forum during Students’ Council Election at Assam University

Posted by স্বাভিমান Labels: ,




Dear friends,
          We are facing our Students’ Council Election at a time when our minds are bereaved with the demise of one of our friends. The University Authority’s sensitive and timely intervention could have averted the incident which had snatched the life of our beloved friend. The authority had not taken any appropriate measure for the treatment of Ratnadeep Malakar’s injury and for that reason; he succumbed to the injury after a month had been elapsed since the incident. Moreover, the clash within the students on an issue pertaining to utterly a natural human relation, by itself implies what extent the academic atmosphere of this university has deteriorated and vitiated to. In earlier occasion, when we had to launch a movement on the issues of students’ welfare and civic facility, the authority had vindictively expelled a student who led the movement. This time also, the authority issued an order expelling and suspending few students by undemocratically and insidiously involving them with the above-mentioned incident which is under the scanner of police investigation. The said order has been issued at a time when many of these students, being the candidates of this election, have already completed the election-process and few of them have been elected DR uncontested. The timing of this order speaks volumes of the malafide intention of the authority to debar them from participating and getting elected in this Council Election. Moreover, three students, who are said to be involved in barely a natural human relation that allegedly led to the incident, had already been expelled. This way, the authority is resorting to undemocratic and vindictive action against the students to veil their negligence and insensitivity.
            So at this election moment, we appeal to the students to be sincere to the core of their hearts to ask themselves --- “don’t we have any responsibility to do justice by unearthing the cause of the demise of our friend and by saving the friends who have been victimized for no fault of theirs?
Rise and unite to achieve genuine rights of the students and to establish congenial democratic atmosphere within the university.
                  
Students’ Democratic Forum and SC-ST Students’ Development Forum

ছাত্র-কাউন্সিল নির্বাচনের মুহূর্তে  স্টুডেন্টস্ ডেমোক্রেটিক ফোরামের ও এস-এসটি স্টুডেন্টস্ ডেভেলাপমেন্ট ফোরামের আহ্বান
সাথী,
              এমন একটা সময়ে আমাদের এই নির্বাচন হচ্ছে যখন আমাদের এক সহপাঠীর মৃত্যুতে আমাদের মন ভারাক্রান্ত। যে ঘটনার ফলে আমরা আমাদের বন্ধুকে হারিয়েছি, সেই ঘটনাই ঘটত না, যদি বিশ্বাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবেদনশীলতার পরিচয় দিয়ে সময়মত হস্তক্ষেপ করতেন। এরপরও বিগত এক মাসকালব্যাপী রত্নদীপ মালাকার.-এর সুচিকিৎসার জন্য কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি, অথচ সময়মত সঠিক চিকিৎসা হলে আমাদের এই বন্ধুর প্রাণ রক্ষা করা যেত। উপরন্তু এক মানবিক সম্পর্ককে কেন্দ্র করে  ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষই প্রমাণ করে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ কী বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগেও ছাত্রদের ন্যূনতম সিভিক-ফেসিলিটির জন্য আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে এবং তখন কর্তৃপক্ষ আক্রোষমূলকভাবে এক ছাত্রের উপর বহিষ্কারের খাড়া নামিয়ে এনেছিল। এবারও একই অগণতান্ত্রিক কায়দায় উপরোক্ত ঘটনার সাথে জড়িয়ে কয়েকজন ছাত্রের নামে কর্তৃপক্ষ সাসপেন্সন্ ও এক্সপালসনের আদেশ জারি করেছেন, যখন এই ঘটনার পুলিস তদন্ত চলছে। এই ছাত্রদের মধ্যে অনেকেই এই নির্বাচনে প্রার্থী এবং তারা নির্বাচনের সমগ্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর এবং অনেকে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডিআর নির্বাচিত হওয়ার দিনই এই আদেশ জারি করা হয়। এতে এটা পরিষ্কার যে তাদের নির্বাচিত হওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার উদ্দেশ্য নিয়েই এটা করা হয়েছিল। তাছাড়া, একটি নিতান্তই মানবিক সম্পর্কে আবদ্ধ তিনজন ছাত্র/ছাত্রীকে ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করা হয়েছে। এভাবে কর্তৃপক্ষ নিজের গাফিলতিকে আড়াল করার উদ্দেশ্য নিয়েই একের পর এক অগণতান্ত্রিক ও আক্রোষমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন।
              নির্বাচনের এই মুহূর্তে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আমাদের আহ্বান, সবাই যেন নিজেদের বুকে হাত রেখে নিজেদেরকে প্রশ্ন করে -নিহত ও বিনাদোষে শাস্তিপ্রাপ্ত আমাদের এই সহপাঠীদের প্রতি আমাদের কোন দায়িত্ব কি নেই?
                 আসুন, ছাত্রদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে আমরা ছাত্রসমাজ এক হই। 

Issued by Dr. Kulendra Das, Reasearch Scholar, Assam University
For Swabhiman Blog

SIT-IN-DEMONSTRATION OF TEA-WORKERS

Posted by স্বাভিমান



The workers-members of the various tea-garden unit committees of  of Assam Mojuri Srameek Union of Cachar District of Assam staged a sit-in-demonstration on 15th Sept 2011 in front of Asstt. Labour Commissioner Office in support of their demands mentioned in the memorandum submitted to all concerned and appealed to all the right-minded people through the media to come out in support of their demands for amelioration of their distressed and dejected livelihood status. The inhuman slave like treatment meted out to them is detrimental to the overall welfare of the whole society at large.     
ASOM MOJURI SRAMEEK UNION
Barak Valley Zonal Committee
Regd No. 2287
Ref :                                                                                                                                         Date:
A section of worker-members of the
unit committees of various tea-gardens 
of Cachar Ditrcict staging sit-in-demonstration 

To,
The Asstt. Labour Commissioner (State)
Silchar, Assam

Sub : Wage parity between Barak – Brahmaputra valley tea-workers, Wage enhancement and Need based minimum wage for tea-workers.


                                                      Sir,
We, on behalf of Assam Mojuri Srameek Union, Barak Zonal Committee, which has its units in various tea-industries of this region, would like to draw your kind attention to the following points for your perusal and needful action.

(1) Sir, when a tea worker of Brahmaputra Valley is getting the wage of Rs.72 a day in cash in addition to the 3.25 Kg  of cereals per week food-grains at 40 P a Kg and free wood for fuel that added up to an amount of not more than Rs.20 a day, a tea-worker of Barak Valley is getting a measly amount of around Rs.55 a day in cash. Moreover, during the every wage-increase on the basis of the stipulated slab-wise increment, the increase of real wage is offset and lowered cunningly by simultaneously increasing the task (Nirikh). This is gross violation of the principle of equal wages for equal work and these anomalies should be eradicated forthwith by maintaining parity in wages and the task of 18kg plucking should be maintained till it is revised in the next round of negotiation .

(2) When the MGNREGA-workers who are considered as unskilled rural manual workers are getting the daily wage of Rs.130/worker, the present daily wage of tea-worker of Barak Valley vis-à-vis Assam is too meager to maintain the livelihood. So the daily wage of tea-workers should be enhanced from the existing Rs.55 to at least the level of MGNREGA-wage.

(3) The 15th Indian Labour Conference held in 1957 stipulated that the need based minimum wage for all industrial workers should be calculated covering the food and living requirements of three units consumption. Under this guideline and in view of the present consumer price index (CPI), the tea-worker’s wage will be much more than the double of the existing wage. The resistance of the employer’s associations to consider 1.5 units instead of 3 units in case of calculating the tea-worker’s wage on the ground that the engagement of both male & female workers implies two earners in the family is absolutely unfounded & baseless. There are ample evidences contrary to their claim. Moreover, as the existing wage is much less than the half of need based minimum wage that would have been determined by the Wage Board under the guideline enshrined in the declaration of Indian Labour Conference and the exiting CPI, the workers are extra-economically coerced to accept less than bare minimum wage that would have been the actual wage, if calculated on the basis of the ill-founded logic of the employer’s too. So, an immediate revision-process of the wage-structure of tea-workers of Barak Valley vis-à-vis Assam needs to be initiated taking our Union, which is one of the genuine representatives of the tea-workers, into confidence.

(4) 20% Bonus along with 5% ex-gratia  should be paid to each worker before the forthcoming puja-festival.


                                                                    Yours faithfully
  
                                                       Assam Mojuri Srameek Union
                                                       Barak Valley Zonal Committee

Copy to – (1) Honourable Cabinet Minister, Ministry of Labour, Dispur, Assam. (2) Deputy Commissioner, Cachar, Silchar, Assam (3) Secretary, Tea Association of India, Silchar, Assam (4) Secretary, Indian Tea Associations, Silchar, Assam.

Assam Mojuri Srameek Union
Barak Valley Zonal Committee


    

এনরেগা আন্দোলন ও ‘টিম আন্নার’ গ্রামসসভা আন্দোলনে সাফল্য আসলে ভারতীয় সমাজের ‘বিপ্লবী অগ্রগতিতে’ পরিণত হবে

Posted by স্বাভিমান Labels: , ,





(অরুণোদয়ের জন্য)
অরূপা মহাজন

            ভারত সরকারের অনুসৃত নিও লিবারেলঅর্থনীতির ফলে ভারতীয় সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ভৌগোলিক-জনগোষ্ঠীগত ও শ্রেণিগত অসাম্য, দরিদ্রতা ও রোজগারহীনতা তীব্র গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিও লিবারেল গ্রোথ মডেলের ট্রিকল ডাউন এফেক্টেরঅসারতা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে । সমাজের মুষ্ঠিমেয় ধনকুবেরদের ধনভাণ্ডার ক্রমাগত স্ফীত হচ্ছে, অন্যদিকে সমাজের গরিষ্ঠাংশ দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে গ্রোথরেট বৃদ্ধির সুফল স্বাভাবিকভাবে বাজারের নিয়মে চুইয়ে চুইয়ে পৌঁছে যাওয়ার দাবির অন্তঃসারশূন্যতা প্রমাণ করে দিয়ে এক ক্ষুদ্র সচ্ছ্ল অংশের মধ্যেই আবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। বাজারচালিত উন্নয়নের পথ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পরম্পরাগত রুজি-রোজগারের মাধ্যমকে কেড়ে নিচ্ছে, সেজের মত ব্যবস্থাগুলির ফলে কৃষকদেরকে হারাতে হচ্ছে তাদের চাষের জমি, বিকৃত উন্নয়নের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি গ্রাম-সমাজকে করছে বাস্তুভিটেহারা, গ্রাম-গ্রামান্তর থেকে রুজি-রোজগারের সন্ধানে শহরমুখী প্রব্রজনের ফলে শহরে বিস্তৃত ঘেটোগুলিগড়ে উঠছে, উন্নয়নের নামে প্রাকৃতিক সম্পদের অবাধ লুণ্ঠন প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট করে পরিবেশ দূষণের চরম বিপদ ডেকে আনছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষ অহিংস থেকে সহিংস বা তার উল্টো কিংবা এই দুটোর মিশ্রণের বিভিন্ন রূপ, মাত্রা ও ব্যাপ্তির বিদ্রোহ যে গড়ে তুলবে তাই স্বাভাবিক। সচেতন কিংবা স্বতঃস্ফূর্ত এই বিদ্রোহগুলিই আমাদের নীতি-নির্ধারকদের তাদের অনুসৃত জনবিরোধী পথে এগিয়ে যেতে বাধা দেয়, বাধ্য করে থমকে দাঁড়াতে কিংবা সাময়িকভাবে পিছু হঠতে।
           সুতরাং রাষ্ট্র ও সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আসীন আমাদের নীতি-নির্ধারকদের প্রভাবিত করার দুই পরস্পর বিপরীতমুখী ও বৈরী সম্পর্কে আবদ্ধ শক্তি প্রতিনিয়ত ক্রিয়াশীল রয়েছে। আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, গ্লোবাল ওলিগোপলিজ বা বৃহৎ পুঁজির মালিক ও কর্পোরেট দুনিয়ার প্রভাবে সরকার নিও লিবারেলপলিসি অনুসরণ করে। আবার এই পলিসির কুপ্রভাবের বিরুদ্ধে গণ-বিদ্রোহ যে পরিমাণে নীতি-নির্ধারকদের প্রভাবিত করতে পারে সেই পরিমাণে পিছু হঠতে বাধ্য করে। যেহেতু বিদ্রোহ বা গণ-মতামতকে বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্য দিয়েই নীতি-নির্ধারকদের প্রভাবিত করতে হয়, তাই দুর্বল সামাজিক শ্রেণির মানুষের জন্য দুটি উপায় খোলা থাকে। হয় আন্দোলনকে এমন স্তরে নিয়ে যাওয়া যাতে আন্দোলনের প্রভাবাধীন অঞ্চলে রাষ্ট্রের উপস্থিতি বজায় রাখা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে, নাহয় এই আন্দোলনের পক্ষে প্রভাবশালী মধ্যবিত্ত শ্রেণিরএক গুরুত্বপূর্ণ অংশের মধ্যে মতামত তৈরি করা যাতে প্রশাসনযন্ত্রের অন্দরমহলে বিষয়বস্তুর পক্ষে লবি গড়ে ওঠে। দুটি নির্বাচনের অন্তর্বর্তী সময়ে সরকারের নীতিগ্রহণ ও তার প্রয়োগে জনগণের মতামত প্রতিফলিত করার অন্য কোন পথ খোলা থাকে না । তথাপিও নির্বাচনে পরিত্যাজ্য হওয়ার ভয়েও নীতি-নির্ধারকরা নিও-লিবারেল অর্থনীতির পথ অনুসরণের ক্ষেত্রে ধীরে চলার নীতি গ্রহণ করতে অনেক সময়েই বাধ্য হয়। সুতরাং নিও-লিবারেল অর্থনীতির গ্রোথ-নির্ভর উন্নয়ন মডেলের ক্ষেত্রে সবচাইতে উপযুক্ত পরিবেশ হতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রকে খর্ব করা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারী নিয়ন্ত্রণ উঠিয়ে দিয়ে বেসরকারীকরণ করা। উল্টোদিকে সামাজিক উন্নয়নের মডেলের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন ও রাষ্ট্রীয়করণের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার উপর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা, প্রাইভেট বা পাবলিক-প্রাইভেট মডেলের পরিবর্তে স্টেট (পাবলিক)-সোসাল মডেল তৈরি করা। নিও-লিবারেলাইজেশন বা গ্লোবেলাইজেশনের বিরুদ্ধে সামাজিক উন্নয়নের জন্য সংগ্রামের একটি মুখ্য দিক হচ্ছে গণতন্ত্রকে প্রসারিত করার সংগ্রাম। গণতন্ত্রকে প্রসারিত করার সংগ্রাম আরও একটি দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাদের বিকল্প হিসেবে এতাবৎ গড়ে ওঠা সমাজবাদী প্রকল্পগুলির বিপর্যয়ের একটি অন্যতম মুখ্য দিক হচ্ছে এই যে, পুঁজির প্রসারণের পর্যায়ে বুর্জোয়া গণতন্ত্র যে অধিকারগুলো সুনিশ্চিত করতে পেরেছে, সমাজবাদী প্রকল্পে এই গণতন্ত্রকে তো অতিক্রম করতে পারেইনি, বরঞ্চ বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকেও অনেকক্ষেত্রে খর্ব করেছে। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে তো কলোনিয়াল লিগেসি বুর্জোয়া গণতন্ত্রকেও খর্ব করে রেখেছে । সুতরাং গ্লোবেলাইজেশন বা পুঁজিবাদের বিকল্প নির্মাণ তো ভারতবর্ষের মত দেশে শুরু হবে নয়া-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। বিকল্প নির্মাণের যাত্রা শ্রমিক শ্রেণির পার্টি ও ব্যবস্থায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও প্রসারিত করার সংগ্রামকে এড়িয়ে গিয়ে করা যাবে না । শ্রমিক শ্রেণির পার্টি যদি শ্রেণির সাথে জৈব-সম্পর্কহীন ভ্যানগার্ডহয়, তাহলে পার্টির উপর শ্রেণির নিয়ন্ত্রণ থাকে না, পার্টি হয়ে ওঠে সর্বময় এবং এই যুক্তির অনুশীলনে ধীরে ধীরে পার্টি-কর্তা বা কর্তাগোষ্ঠী হয়ে ওঠেন পার্টির নিয়ন্ত্রক। পার্টি যে রাষ্ট্র পরিচালন করে সেই রাষ্ট্রীয় কাঠামো যদি থাকে জনগণের নিয়ন্ত্রণ থেকে অনেক দূরে তাহলে পার্টি-রাষ্ট্রের এক জগদ্দল পাথর জনগণের ঘাড়ে চেপে বসে। এধরণের গণতন্ত্রহীন কাঠামো যেখানে জনগণ শুধু শাসিত হওয়ার ভাগিদার, শাসনের অন্দরমহল তাদের কাছে রহস্যময় জগত, সেরকম এক কাঠামো বিশ্ব-পুঁজিবাদী আগ্রাসন স্থায়ীভাবে মোকাবিলা করতে পারে না, পুঁজিবাদের বিকল্প গড়ে তোলার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। গণতান্ত্রিক পরিবেশ শ্রমিক শ্রেণিকে সক্রিয় হতে, পুঁজিবাদী শোষণের নিয়মকে চিনতে এবং বিকল্প অর্থনীতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উৎসাহী হতে সাহায্য করে। তাই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম শোষণ-শাসন ও অসাম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের অপরিহার্য পূর্বশর্ত। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আন্না টিমেরগ্রামসংসদ বা গ্রামসভাকে শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে গণ-ক্ষমতায়নের জন্য তৃণমূল গণতান্ত্রিক-প্রতিষ্ঠানের বৈধতা প্রদানের আন্দোলনের আহ্বান এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আইনী বৈধতা থেকেও যা বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো এই যে দাবি আদায়ের গণ-সক্রিয়তার মধ্য দিয়ে জনগণ তাকে ব্যবহার করার পন্থা-পদ্ধতিও শিখতে আরম্ভ করবে।


           এই গ্রামসভার সাথে আরেকটি বিষয়কে যদি যুক্ত করা যায় তাহলে নিও লিবারেলিজমেরবিরুদ্ধে সংগ্রামের এক বৃহৎ ক্ষেত্র তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবলভাবে দেখা দেবে। বিশ্ব পুঁজিবাদী সংকটের দুটি প্রধান লক্ষণ হচ্ছে () ব্যাপক মাত্রায় বেকারের সংখ্যা ও সামাজিক অসাম্য বৃদ্ধি অর্থাৎ বাজারে উৎপাদিত শিল্প-পণ্যের চাহিদা পড়ে যাওয়া ও সামাজিক অস্থিরতা দেখা দেওয়া () প্রান্তিক দেশগুলির শ্রম-সম্পদ লুণ্ঠনের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে একের পর এক গণবিক্ষোভ দেখা দেওয়া। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক ও আর্থিক ভারসাম্য বজায় রাখতে রাষ্ট্র সামাজিক ব্যয় বৃদ্ধি করে শ্রম-নিয়োগের দায়িত্ব নেয়। এরকম এক ঐতিহাসিক পরিস্থিতিতেই পশ্চিমের দেশে শ্রমের অধিকার বৈধতা পেয়েছিলো । ভারতবর্ষে এই অধিকারের দাবিতে আন্দোলনের ফলে এবং বর্তমান আর্থিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৫ সালে এনরেগা আইনের মাধ্যমে শ্রমের অধিকার সাংবিধানিক স্বীকৃতি লাভ করে । রাষ্ট্রের এই ভূমিকায় পুঁজিবাদী বাজার অর্থনীতির ক্ষেত্রে উল্টোদিক থেকে এক প্রতিকূল পরিস্থিতিরও জন্ম দেয়। অধিক মাত্রায় শ্রমিক নিয়োগের ফলে শ্রমিক শ্রেণির দরকষাকষির ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটে এবং শ্রমিক শ্রেণি মজুরি বৃদ্ধি, ইউনিয়ন অধিকার ও অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে আন্দোলনে নেমে পড়তে আরম্ভ করে। অর্থাৎ দুই বিপরীতমুখী গতির সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠে । একদিকে বাজারের চাহিদার জন্য শ্রম নিয়োগ এবং অন্যদিকে দরকষাকষির ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে বাজারের নিয়ম ও অতি-মুনাফার বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণির চ্যালেঞ্জ।
            ২০০৫ সালে যে এনরেগা আইন জারি হয় যা বর্তমানে গোটা ভারতবর্ষে চালু রয়েছে, সেই আইনের অনেক দুর্বলতা থাকা সত্বেও এর সুফল ফলতে শুরু করেছে। এই আইনের অনেকগুলি দুর্বলতার মধ্যে একটি হচ্ছে ৬ নং অনুচ্ছেদের ২৭ নং ধারা যেখানে বলা হয়েছে যে দুর্নীতির অভিযোগে কোন এলাকার স্কিম কেন্দ্র বাতিল করে দিতে পারে । এই আইন স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে প্রয়োগ করতে চূড়ান্ত গণ-সচেতনতা ও গণ-সক্রিয়তার প্রয়োজন পড়ে। কারণ স্থানীয় প্রশাসনযন্ত্র এই আইন প্রয়োগে উৎসাহী থাকে না এবং এর সঠিক রূপায়ণ এড়িয়ে যাওয়ার অজুহাত খুঁজতে থাকে । আইনের এই ধারাকে রূপায়ণকারী সংস্থাগুলি জনগণকে ভয় দেখানোর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে । অভিযোগ করলে যদি প্রকল্পই বাতিল হয়ে যায় তাহলে শ্রমিকরা অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয় মনে করবে । প্রতিজন ব্যক্তির জন্য নয়, পারিবারিকভাবে ১০০ দিনের কাজের বিধান আরেকটি এরকম দুর্বলতার দিক। আইনের এরকম অনেক দুর্বলতা এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা ও বাধা থাকা সত্বেও,বিভিন্ন রাজ্যের তথ্য বলছে যে যেসব এলাকায় ইতিমধ্যে এনরেগার কাজের যথেষ্ট পরিমাণে অগ্রগতি ঘটেছে তার প্রভাবে পার্শ্ববর্তী এলাকার অন্যান্য ক্ষেত্রের শ্রমিকদের দরকষাকষির ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। পিছিয়ে পড়া অঞ্চল থেকে কাজের সন্ধানে শিল্পবহুল অঞ্চলে শ্রমিকদের প্রব্রজন অসংগঠিত ও কায়িক শ্রমিকদের দরকষাকষির ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বহু এলাকায় এধরনের প্রব্রজন অনেকটা হ্রাস পেয়েছে । কম মজুরির কাজের ক্ষেত্র ছেড়ে এনরেগার কাজে চলে আসার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে, কম মজুরির কাজের ক্ষেত্রে মজুরি বৃদ্ধি করার চাপ তৈরি হয়। আসামের চা-মালিকরাও যে এই আইনের প্রয়োগে শঙ্কিত হয়ে উঠেছিল তার অন্তর্নিহিত কারণও এর মধ্যেই রয়েছে। এনএসএসও- এর ২০০৯-১০ সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯৩-৯৪ তূলনায় শ্রম-শক্তির অংশ গ্রহণের হার (বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে) ও কর্মী নিয়োগের পরিমাণ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কমেছে এবং তারজন্য জবলেস্ গ্রোথ অন্যতম একটি কারণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু স্থানিক বিচারে এনরেগার প্রভাব পরিলক্ষিত হওয়ায় একথা নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায় যে এই আইন রূপায়ণের আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে পারলে সামগ্রিক গুণগত পরিবর্তন পাওয়া যাবে। এই আইনের তিনটি মুখ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে () কাজ চাইলে কাজ দিতে সরকার বাধ্য অন্যথায় বেকার ভাতা দিতে হবে। () কাজের মাধ্যমে সামাজিক এসেট তৈরি করতে হবে যাতে গ্রামোন্নয়ন হয়। () প্রকল্প নির্ধার, তদারকি ও হিসাব-পরীক্ষার ক্ষেত্রে গ্রামসভাকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রদান। সুতরাং এই আইনকে সুষ্ঠুভাবে রূপায়ণ করার, এনরেগার কাজে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, শহরাঞ্চলেও একে প্রসারিত করা ও বেকার ভাতা দিতে রাজ্য সরকারগুলিকে বাধ্য করার জন্য যদি এক ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলা যায়, তাহলে আর্থিক-সামাজিক শক্তির ভারসাম্য বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং শ্রমিক আন্দোলন বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে এক সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে।


        শ্রমিক শ্রেণির ক্ষমতা দখল ও রাষ্ট্রের প্রকৃত বৈপব্লিক রূপান্তরের পূর্বে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা অনেকগুলি বৈপব্লিক অগ্রগতির মধ্য দিয়ে যায়। এনরেগা আন্দোলন ও টিম আন্নারগ্রামসংসদের আন্দোলনে সাফল্য আসলে, আমার মতে ভারতীয় সমাজে এধরনের এক বৈপ্লবিক অগ্রগতি ঘটবে। 
                              ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~`
লেখাটা চাইলে আপনি এখানেও পড়তে পারেন, আপনার শুধু ফ্লাসপ্লেয়ার নামিয়ে নেবার দরকার পড়তে পারে। 

এনরেগা আন্দোলন ও ‘টিম আন্নার’ গ্রামসসভা আন্দোলনে সাফল্য আসলে ভারতীয় সমাজের ‘বিপ্লবী অগ্রগতিতে’ প...

কার্যকরী লোকপাল আইন, গনতন্ত্রকে প্রসারিত করা, পঞ্চায়েতিরাজ ও গ্রামসভা প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার দাবিতে অনশন কর্মসূচী সফল করুন

Posted by স্বাভিমান Labels: , ,




         লোকপাল বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকায় আমরা শঙ্কিত। আমরা শঙ্কিত এই কারণেই যে এক নখদন্তহীন, দুর্বল এবং দুর্নীতিবাজদের শায়েস্তা করতে অপারগ এক বিল পার্লামেন্টে পেশ করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দুর্নীতিরোধে সরকার ও সরকার-পরিচালক দল কংগ্রেসের অনীহা ও অনাগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে। যেহেতু পার্লামেন্টে বিতর্ক ও গৃহিত হওয়ার মধ্য দিয়েই এই বিল আইনে রূপান্তরিত হবে, তাই “টিম আন্নার” তৈরি খসরা বিল সংসদে পেশ করতে কোন আপত্তি থাকার কথা ছিল না। এক্ষেত্রে সরকারের আপত্তি তাদের দূরভিসন্ধিরই পরিচায়ক। তৃণমূল স্তরে ও সর্বোচ্চ স্তরের দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে উভয় স্তরের কর্তাব্যক্তিদের লোকপালের আওতায় আনা আবশ্যক। প্রধানমন্ত্রী ও জিলাস্তর সহ নিচুতলার প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের লোকপালের আওতার বাইরে রেখে সরকার প্রকারান্তরে দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার পরিবর্তে প্রশয় দেওয়ারই এক আইন তৈরি করতে চাইছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে অভিযোগকারীর উপর শাস্তির বিধান রেখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করার ব্যাপারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে চাইছে সরকার। আমরা সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করছি।

        বন্ধুগণ, আমরা মনে করি, সর্বস্তরে দুর্নীতিকে রোধ করতে হলে, এক কার্যকরী লোকপাল প্রতিষ্ঠান গঠন করা এবং তার অধীনে রাজ্যিক লোকায়ূক্তকে শক্তিশালী করার সাথে সাথে বর্তমান সংসদীয় গণতন্ত্রকে আরও প্রসারিত করা প্রয়োজন যাতে নীতি-নির্ধারক আইনসভা ও রূপায়ণকারী প্রশাসন-যন্ত্রকে জনগণ কার্যকরীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি জনগণের ক্ষমতা বৃদ্ধি না করে দুর্নীতি দমন সম্ভব নয়। অথচ, আমরা লক্ষ্য করছি যে, আশির দশক থেকে এবং বিশেষ করে ১৯৯১ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর গৃহিত নয়া আর্থিক নীতির মাধ্যমে সমস্ত কিছুকে বেসরকারীকরণ তথা ব্যক্তিগতকরণের ফলে জনগণের অপ্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণও উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানীগুলি তাদের ব্যক্তিগত মুনাফার স্বার্থে ও সস্তায় দেশের শ্রম-সম্পদ লুঠ করার উদ্দেশ্যে টাকার থলি নিয়ে মন্ত্রী-আমলাদের দোয়ারে হাজির হচ্ছে এবং তাতে অতীতের তূলনায় দুর্নীতি ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং লাগামছাড়া কালো-টাকার পাহাড় গড়ে উঠছে। জনগণকে ঘুমে রেখে এবং জনগণের কাছে উত্তর দেওয়ার ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতা ক্রমাগত শিথিল করে, ব্যক্তিগতকরণের মাধ্যমে জনগণের প্রতি সরকারের দায় কমিয়ে আনার মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি ও আমলারা অর্থ ও বাহুবলে বলিয়ান হয়ে উঠছেন।

         বন্ধুগণ, গণ-আন্দোলনের চাপে তৃণমূল স্তরে যেটুকু ক্ষমতা জনগণ আদায় করতে পেরেছে, সেই গণ-প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রশাসনিক কূটচালের মাধ্যমে অকার্যকরী করে দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত ও এনরেগা আইনে যে গ্রামসভার বিধান রয়েছে সেগুলিকে বাস্তবে অনুষ্ঠিত না করে নথিপত্র কারসাজি করে গ্রামসভাকে প্রহসনে পরিণত করার অপচেষ্টা নিরন্তর চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েতের হাতে নির্ধারিত ক্ষমতাগুলি হস্তান্তর না করে গ্রামীণ মানুষের ক্ষমতায়নের এই প্রতিষ্ঠানকে মন্ত্রী-আমলাদের লুঠের এজেন্ট-প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।

        তাই, বন্ধুগণ, এক কার্যকরী লোকপাল বিধেয়ক, গন-ক্ষমতায়নের জন্য গনতন্ত্রকে প্রসারিত করা, পঞ্চায়েতিরাজ ও গ্রামসভা প্রতিষ্ঠানকে কার্যকরী ও শক্তিশালী করার দাবিতে ইন্ডিয়া অ্যাগেনস্ট করাপশনের সর্বভারতীয় কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে আমরা শিলচরেও ১৬ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন কর্মসূচীতে সামিল হচ্ছি।

সংগ্রামী অভিনন্দন সহ :

ইন্ডিয়া অ্যাগেনস্ট করাপশন – অ্যা লঙ মার্চ, বরাক ভ্যালির পক্ষে নির্মল কুমার দাস ও নেহারুল আহমেদ মজুমদার কর্তৃক প্রচারিত ও ....................................মুদ্রিত।     
সঙ্গে আছেনঃ অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন,বরাক হিউমেন রাইটস ইউনিয়ন, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি সহ প্রায় বিশটি আরো সংগঠন।  

Anna Hazares message to the Nation for 15th and 16th August.

Posted by স্বাভিমান Labels: , , , , ,



My Dear Fellow Indians,
          A decisive battle against corruption has begun. We are not against any political party. We want systemic reforms. We want a corruption-free India. After all, what are the people asking for – a strong anti-corruption law which provides for honest and time-bound investigations and trials that result in jail for the guilty, confiscation of embezzled money and their dismissal from service? Are we asking too much? For two months, we were talking to the government. Government seems unwilling to take even small steps against corruption. Government appears insincere. We have met all prominent political leaders. We have tried everything. What do we do now? When I announced my indefinite fast from 16th August, the government threatened that they would crush us the way they crushed Baba Ramdev's peaceful agitation. Friends, this is a historic opportunity. We can't afford to lose it. We are determined to fight to the end. If they arrest us, we will peacefully offer ourselves. If they use batons and bullets, we will happily lay down our lives but will not leave the place. We will not retaliate. It will be a completely non-violent movement. “If you fast on 16th August, you will be crushed” – this is what they are saying. “We will impose section 144 on Jantar Mantar” – this is what they are thinking. But I say that if every citizen in this country takes off from his work from 16th August, comes on the streets in front of his house, at the crossing, with a tricolor in his hands shouting “Bharat Mata ki Jai” and raising slogans against corruption, they will fall short of batons and bullets. The government may arrest one Anna Hazare but how will they arrest 120 crore Anna Hazares? They may impose section 144 at one Jantar Mantar but will they impose section 144 on the whole country? And let me tell you – the police and army is with us. At traffic signals, policemen stop us, express their support and wish us well; at Raj Ghat, the policemen donated generously for the movement! So, will you take off from your work from 16 August? Will you descend on the streets with me? This year, the country will wait for 16th rather than 15th August. In solidarity,
thanks

Anna Hazare

(Please make copies of this pamphlet and distribute it in large nos.)


“WHY GOVERNMENT'S LOKPAL IS DANGEROUS???”

       Government's Lokpal is targeted against those who raise their voice against corruption rather than to punish the corrupt!

       The government's Lokpal bill covers only about 0.5% of public servants, yet it brings under its ambit virtually every citizen's group and organization, registered or unregistered, meant to serve the social sector. This raises a pertinent question -- whom is the Lokpal really targeted at? There are more than 1.25 crore central and state government employees. Out of this merely 65,000 Group A Central Government employees would be covered in the government bill leaving out all the lower officers and staff. This effectively means that there is no remedy against corruption that a common person faces daily in police, roads, industry, licensing, transport, roadways, municipality, rations, health services, education, pension, provident funds, Panchayat, forest department, irrigation department, etc. On the other hand, Lokpal would have jurisdiction over ALL NGOs, trusts, societies like Resident Welfare Associations(RWAs), big or small, whether registered or unregistered, whether they receive government funding or not, up to the village level! For instance, consider a group of citizens that unearths corruption of the Sarpanch and Block Development officer (BDO) in a village. The government's Lokpal can't take any action against the Sarpanch or BDO but it CAN lock up the group of HONEST active CITIZENS. Each and every association, like Resident Welfare Associations, Market Associations, even your neighborhood committees that organize festivals like Durga Puja, Ramlila, etc. would be under the purview of Lokpal. While there is no disagreement that the rot of corruption is also afflicting many societies, associations and NGOs, there already exists a plethora of laws like the Trust Act, Societies Act, FCRA, etc. to monitor them. Lokpal was originally intended for checking corruption in public servants. Regardless, if it is being extended to all associations of civil society, then why shouldn't it also cover all companies, businesses, political parties, and media houses?

Government's Lokpal Provides Greater Protection to Corrupt!

Provisions in the government's Lokpal Bill heavily favour corrupt public servants. Under this bill, a public servant accused of corruption is allowed to turn around and file a lawsuit against the complainant accusing him of filing a frivolous complaint. The government will provide a free advocate to the accused to help prove the citizen was wrong, while the citizen has to fend for himself. If the complaint proves to be frivolous, the minimum sentence FOR THE CITIZEN is TWO YEARS. But if the corruption charges are proved, the minimum sentence for the public servant is just SIX MONTHS!
Will then any citizen dare raise a voice against corruption?

PLEASE FORWARD TO ALL YOU FRIENDS.

স্বাভিমান:SWABHIMAN Headline Animator